চট্টগ্রাম: বাংলাদেশে ভূমিকম্পের ঝুঁকি মোকাবিলায় সচেতনতা এবং ভবন নির্মাণে জাতীয় বিল্ডিং কোড (বিএনবিসি) কঠোরভাবে অনুসরণের আহ্বান জানিয়েছেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও ভূমিকম্প গবেষক অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির পুরকৌশল বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
‘বাংলাদেশে ভূমিকম্পের ঝুঁকি: জাতীয় অর্থনীতিতে প্রভাব’ শীর্ষক এই সেমিনারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের হল রুমে অনুষ্ঠিত হয়। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চুয়েট, রুয়েট ও ইউএসটিসির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ড. শরীফ আশরাফউজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক সরওয়ার জাহান।
মূল প্রবন্ধে অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “বাংলাদেশে ভূমিকম্প হওয়াটা নিশ্চিত। তাই বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে আমাদের এখন থেকেই সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও সিলেটের মতো জনবহুল শহরগুলো চরম ঝুঁকিতে রয়েছে।” তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, গত ৫০ বছরে দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে পরিবেশবান্ধব ও টেকসই পরিকল্পনার অভাব ছিল। এই অসচেতনতা ভূমিকম্পের ঝুঁকিকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
গবেষক জাহাঙ্গীর আলম সতর্ক করে বলেন, ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে নতুন অবকাঠামো নির্মাণে ‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড (বিএনবিসি) ২০২০’ যথাযথভাবে অনুসরণ করা বাধ্যতামূলক। একইসঙ্গে ঝুঁকিপূর্ণ ও সংস্কার অযোগ্য ভবনগুলো চিহ্নিত করে দ্রুত সরিয়ে ফেলার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। তিনি প্রকৌশলী, স্থপতি, নির্মাতা এবং বাড়ির মালিকদের এ বিষয়ে অধিকতর সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানান।
সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী মোজাম্মেল হক, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এ এফ এম মোদাচ্ছের আলীসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা।
বক্তারা ভূমিকম্পের ঝুঁকি প্রশমনে গবেষণার ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং জাতীয় অর্থনীতিতে এর সম্ভাব্য নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার দাবি জানান।
-সংবাদ বিজ্ঞপ্তি










