বিনোদন ডেস্ক:
হরিয়ানার মডেল শীতলের রহস্যময় নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় এবার নতুন মোড়। রবিবার আহার গ্রামে মিউজিক ভিডিওর শুটিংয়ে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যান এই তরুণী। এরপর সোমবার এক খাল থেকে তাঁর গলার নলি কাটা দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁর প্রাক্তন প্রেমিক সুনীলকে, যিনি জেরায় খুনের কথা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, খুনের পর নিজের গাড়িতে শীতলের দেহ রেখে তা পানিপথের কাছে একটি খালে ফেলে দেন সুনীল। পরে সেখান থেকে পালিয়ে গিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন দুর্ঘটনার অজুহাতে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে গাড়িটি উদ্ধার করলেও দেহ মেলেনি। অবশেষে সোমবার সোনিপথের কাছে খাল থেকে মেলে শীতলের ক্ষতবিক্ষত দেহ। হাতের ট্যাটু দেখে পরিবারের সদস্যরা তাঁর পরিচয় শনাক্ত করেন। ময়নাতদন্তে দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন মিলেছে।
শীতলের দিদি নেহা শুরু থেকেই সুনীলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আসছিলেন। নেহার দাবি, শুটিংয়ের দিনও সুনীল তাঁর বোনকে মারধর করে এবং জোর করে বাইরে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। নেহা আরও জানান, কর্ণালের এক হোটেলে কাজ করার সময় সুনীলের সঙ্গে শীতলের পরিচয় হয় এবং পরে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তবে বিবাহিতা শীতল, যাঁর পাঁচ মাসের সন্তান রয়েছে, সুনীলের বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে, দুই সন্তানের জনক সুনীল এই প্রত্যাখ্যান মেনে নিতে পারেননি।
সম্পর্কের টানাপোড়েন, প্রত্যাখ্যান এবং শারীরিক নিগ্রহ—সব মিলিয়ে একটি ত্রিকোণ আবহে করুণ পরিণতির দিকে ঠেলে দিয়েছে শীতলকে। হরিয়ানা পুলিশ জানিয়েছে, খুনের মোটিভ ও ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ চলছে। সুনীলকে আদালতে তোলা হবে এবং রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
শীতলের অকাল মৃত্যু ঘিরে উঠছে নানা প্রশ্ন। একজন মা, একজন কর্মজীবী নারী কেন এমন নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হলেন? ব্যক্তিগত সম্পর্কের সীমা লঙ্ঘন করে নিপীড়নের যে ভয়াবহ রূপ—তা ফের একবার প্রকাশ্যে এল শীতলের ঘটনাতেই।