অভিযোগপত্রে আরও অভিযুক্ত করা হয়েছে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে। তাদের বিরুদ্ধে নির্বিচার হত্যা, পরিকল্পিত সহিংসতা, উসকানি ও দমন-পীড়নের নির্দেশনার অভিযোগ আনা হয়েছে।
১৩৫ পৃষ্ঠার মূল অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সৃষ্ট আন্দোলন ‘বর্ষা বিপ্লব’ দমন করতে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়। সে সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ক্ষমতাসীন দলের অঙ্গসংগঠন যৌথভাবে অংশ নেয় এই দমন অভিযানে। এই সময়ের মধ্যেই প্রাণ হারায় ১ হাজার ৪০০-এর বেশি মানুষ। অভিযোগপত্রে উল্লেখ রয়েছে অডিও-ভিডিও প্রমাণ, সাক্ষ্য-প্রমাণ এবং সাক্ষীদের বক্তব্যের বিস্তারিত বিবরণ।
মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে মোট ৮১ জনকে। চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, “এটি কোনো রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বিচার নয়। বরং ভবিষ্যতের জন্য অঙ্গীকার-মানবতাবিরোধী অপরাধ আর সহ্য করা হবে না।” তিনি আরও জানান, অভিযুক্তদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে সংগঠিত ও পরিকল্পিত অপরাধের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ রয়েছে।
এর আগে ১২ মে তদন্ত সংস্থা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। সেই সময় ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, বর্ষা বিপ্লব চলাকালে সংগঠিত হত্যাযজ্ঞ, নিপীড়ন ও নিখোঁজের ঘটনার দায় বর্তায় সরাসরি শেখ হাসিনার ওপর।
উল্লেখযোগ্য যে, এই বিচার চলছে সেই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে, যেটি গঠিত হয়েছিল ২০০৯ সালে শেখ হাসিনার সরকারের আমলে ১৯৭১ সালের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে। আজ সেই আদালতেই সাবেক প্রধানমন্ত্রী নিজেই মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত হয়ে দাঁড়িয়েছেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এ বিচার কার্যক্রম শুধু একটি গুরুত্বপূর্ণ আইনগত পদক্ষেপ নয়, বরং এটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ বাঁক। আগামী সপ্তাহে ট্রাইব্যুনাল অভিযুক্তদের আনুষ্ঠানিক জবাবদিহির দিন ধার্য করবে বলে জানা গেছে।
👉 পাঠক, আপনি কি মনে করেন ‘বর্ষা বিপ্লব’-এর ঘটনার পূর্ণ তদন্ত ও বিচার সময়ের দাবি? আপনার মতামত জানান নিচের মন্তব্যঘরে। বিস্তারিত তথ্য ও বিশ্লেষণ পেতে চোখ রাখুন বিজনেসটুডে২৪.কম-এ।
📢 সত্যের পক্ষে, ন্যায়বিচারের পাশে — আমরাও আছি আপনাদের সঙ্গে।