মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা সমন্বয়ক ও সিলেট বিভাগীয় যুব সংগঠক লায়ন আমিন উদ্দিন আহমদ, যিনি সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন আন্দোলনের মুখ্য সমন্বয়ক এম আতিকুর রহমান আখই। সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক সাংবাদিক আজিজুল ইসলাম, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর শামীম আহমদ রনি, দৈনিক প্রভাতবেলার সম্পাদক ও প্রকাশক কবির আহমদ সোহেল, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আইন সহায়তা কেন্দ্র (আসক) ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট রকিব আল মাহমুদ, বাংলাদেশ যুব জমিয়তের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা কবির আহমদ, সিলেট বিভাগ উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ সালেহ আহমদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট সৈয়দ কাওছার আহমদ, সিলেট বিভাগীয় যুব সংগঠক এহছানুল করিম মিশু, মোহনা টিভির সিলেট ব্যুরো চীফ শিপার আহমদ চৌধুরী, কুলাউড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক খালেদ পারভেজ বখ্শসহ আরও অনেকে।
মানববন্ধনে বক্তারা আট দফা দাবির মধ্যে উল্লেখ করেন, সিলেট-ঢাকা ও সিলেট-কক্সবাজার রেলপথে দুইটি স্পেশাল ট্রেন চালু, সিলেট-আখাউড়া রেলপথ সংস্কার ও ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনে উন্নীতকরণ, আখাউড়া-সিলেট সেকশনে অন্তত একটি লোকাল ট্রেন চালু, সকল বন্ধ স্টেশন পুনরায় চালুকরণ, কুলাউড়া জংশন স্টেশনে বরাদ্ধকৃত আসন সংখ্যা বৃদ্ধি, সিলেট-ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রা বিরতী প্রত্যাহার, ত্রুটিমুক্ত ইঞ্জিন ব্যবহারে সিডিউল বিপর্যয় রোধ এবং যাত্রী চাহিদা অনুযায়ী অতিরিক্ত বগি সংযোজন।
বক্তারা হুঁশিয়ারি দেন, দাবি না মানা হলে আগামীতে আরও কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি নেওয়া হবে। এই আন্দোলন বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত সিলেটবাসী তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক আজিজুল ইসলাম জানান, গত ১১ আগস্ট কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে রেল উপদেষ্টা, সচিব ও রেলওয়ের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবরে স্মারকলিপি পাঠানো হয়েছে। এছাড়া সিলেট বিভাগের বিভিন্ন স্টেশনে মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় ও প্রচারপত্র বিতরণ করা হচ্ছে। আগামী ৩০ আগস্ট কুলাউড়া জংশন স্টেশনে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।