বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক:
ইলন মাস্ক বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্স অনুযায়ী, তাঁর মোট সম্পদ ৩৩৫ বিলিয়ন ডলার। তবে ইতিহাসের পাতায় এমন একজন রাজা আছেন, যার ধন-সম্পদের কাছে মাস্ক, মুকেশ আম্বানি, আদানি কিংবা টাটার সম্পদও হয়ে পড়ে তুচ্ছ।
👑 তিনি ছিলেন মানসা মুসা-১৪ শতকের পশ্চিম আফ্রিকার মালির সম্রাট। ইতিহাস তাঁকে সর্বকালের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি হিসেবে চিহ্নিত করে। তাঁর রাজত্বে মালি পরিণত হয় আফ্রিকার সবচেয়ে সমৃদ্ধ ও প্রভাবশালী সাম্রাজ্যে, যার সীমানা ছড়িয়ে ছিল আজকের মালি, সেনেগাল, বুরকিনা ফাসো এবং আইভরি কোস্ট পর্যন্ত।
📅 ১২৮০ খ্রিস্টাব্দে জন্ম নেওয়া মুসা ১৩১২ সালে সিংহাসনে বসেন। যদি তাঁর সম্পদের পরিমাণ আজকের মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে তুলনা করা হয়, তাহলে তা দাঁড়াবে আনুমানিক ৪০০ বিলিয়ন ডলার, যা আজকের যেকোনো বিলিয়নেয়ারের চেয়েও অনেক বেশি।
💰 এই বিশাল ধনের উৎস ছিল সোনা ও লবণ। বাম্বুক, বুরে এবং ওয়াঙ্গারার মতো অঞ্চলে ছড়িয়ে থাকা সোনা ও লবণের খনি তাঁর রাজ্যকে করেছিল অঢেল সম্পদে পরিপূর্ণ। তাছাড়া, ট্রান্স-সাহারান বাণিজ্য রুটের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে মালি ছিল আফ্রিকা, ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থল।
🕋 মানসা মুসার বিখ্যাত হজযাত্রা ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে আছে। তিনি ১০০টি উট বোঝাই সোনা, ১২,০০০ সহচর এবং ৬০,০০০ দাসসহ মক্কার উদ্দেশ্যে রওনা হন। ইতিহাস বলে, তিনি ১৮ টন সোনা বহন করেছিলেন, যার মূল্য বর্তমান হিসাবে প্রায় ৯৫৭ মিলিয়ন ডলার! এই যাত্রাপথে এত সোনা বিতরণ করেছিলেন যে কিছু অঞ্চলে সোনার মূল্য পড়ে গিয়েছিল, অর্থাৎ মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস পায়।
🎓 লন্ডনের স্কুল অফ আফ্রিকান অ্যান্ড ওরিয়েন্টাল স্টাডিজের গবেষক লুসি ডুরান বলেন, “মুসার উদারতা তাঁর ঐতিহ্যের অন্যতম স্তম্ভ। দান ও জনকল্যাণে তিনি ছিলেন অগ্রগামী।”
🌟 মানসা মুসা কেবল তাঁর সম্পদের কারণে নয়, বরং তাঁর সমাজসেবামূলক মনোভাব এবং শিক্ষা ও সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষক হিসেবেও স্মরণীয়। তাঁর শাসনামলে তৈমবুক্তু শহর হয়ে ওঠে এক জ্ঞান-সংস্কৃতির কেন্দ্র, যেখানে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে জ্ঞানপিপাসুরা ভিড় করতেন।
📣 আপনার কী মত?
📲 আপনার চিন্তা কমেন্টে জানান
🔁 শেয়ার করে বন্ধুদের জানাতে ভুলবেন না!
❤️ লাইক দিয়ে উৎসাহ দিন!