Home কক্সবাজার মহেশখালীতে পিতার পরে এবার গুলির নিশানা হলেন যুবদল কর্মী মামুন

মহেশখালীতে পিতার পরে এবার গুলির নিশানা হলেন যুবদল কর্মী মামুন

মামুন

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, কক্সবাজার: মা নেই, বাবাকেও হারিয়েছেন কয়েক বছর আগে হত্যাকাণ্ডে। এবার গুলির নিশানা হলেন নিজেই। মহেশখালীর যুবদলকর্মী রফিক আহমদ ওরফে মামুন (৩৮) আর নেই। তাকে গুলি করে হত্যা করেছে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা। মঙ্গলবারকালারমারছড়া ইউনিয়নের মারাক্কাঘোনা সড়কে তার গুলিবিদ্ধ মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা রাতের অন্ধকারে মামুনকে গুলি করে একটি সিএনজি অটোরিকশায় করে এনে রাস্তার ধারে ফেলে পালিয়ে যায়। বুকে পরপর তিনটি গুলির চিহ্ন, একটি পেছন দিয়ে বেরিয়ে গেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে বদরখালী ও চকরিয়ার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে যান। পরে সেখান থেকে নেওয়ার সময় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পথেই তার মৃত্যু হয়।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই নুরুল আলম আশেকী জানান, “গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মামুনকে হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার শরীরে তিনটি গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। আমরা ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠিয়েছি।”

নিহত মামুনের বাড়ি মহেশখালীর কালারমারছড়া ইউনিয়নের ছামিরাঘোনা গ্রামে। পরিচিত মহলে তিনি একজন সক্রিয় যুবদলকর্মী হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছিলেন। স্থানীয়দের দাবি, কয়েক বছর আগে মামুনের বাবাকেও পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছিল। এখন একই পরিণতির শিকার হলেন মামুন।

শোকে স্তব্ধ পরিবার বলছে এটি ছিল পরিকল্পিত হত্যা। “ওকে খুব কাছ থেকে গুলি করা হয়েছে। এটা কোনো দুর্ঘটনা নয়। আমরা এর বিচার চাই। যারা ওকে এমন নির্মমভাবে মেরে ফেলেছে, তারা যেন আইনের মুখোমুখি হয়।” এভাবেই কান্নাজড়িত গলায় বলছিলেন মামুনের এক স্বজন।

মহেশখালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কাইছার হামিদ জানান, দুর্বৃত্তের গুলিতে এক যুবদল কর্মী নিহত হয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত দুর্বৃত্তদের শনাক্ত করা যায়নি। নিহত মামুনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন এবং হত্যার অভিযোগসহ অন্তত ১১টি মামলা রয়েছে।

নিহতের মামাতো ভাই মোহাম্মদ মোস্তফা জানান, মামুন মামলার হাজিরা দিতে কক্সবাজারে যান। সেখান থেকে ফেরার পথে পরিকল্পিতভাবে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।