Home আকাশ পথ ভারত-পাক উত্তেজনায় মাঝআকাশ থেকে ফিরে গেল ঢাকামুখী ফ্লাইট

ভারত-পাক উত্তেজনায় মাঝআকাশ থেকে ফিরে গেল ঢাকামুখী ফ্লাইট

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: পাকিস্তানশাসিত আজাদ কাশ্মিরের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ভারতের ‘অপারেশন সিন্দুর’ নামক সামরিক অভিযানে মিসাইল হামলার জেরে পাকিস্তানের আকাশপথে নিরাপত্তা শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফলে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে যাত্রা করা দুটি আন্তর্জাতিক ফ্লাইট মাঝপথ থেকে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছে।

ফ্লাইট দুটি হলো—তুরস্কের ইস্তাম্বুল থেকে ছেড়ে আসা তার্কিশ এয়ারলাইন্সের TK-712 এবং কুয়েত সিটি থেকে ঢাকাগামী কুয়েত এয়ারওয়েজের J9-9533। উভয় ফ্লাইটেরই পাকিস্তানের আকাশপথ ব্যবহার করে ভারত হয়ে বাংলাদেশে আসার কথা ছিল।

ফ্লাইট ট্র্যাকিং প্ল্যাটফর্ম ফ্লাইটরাডার২৪-এর তথ্যমতে, বুধবার ভোররাতে TK-712 ফ্লাইটটি ওমানের মাসকাট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। অন্যদিকে কুয়েত এয়ারওয়েজের ফ্লাইটটি প্রায় দেড় ঘণ্টা আকাশে ঘোরাঘুরির পর কুয়েত সিটিতে ফিরে যায়।

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পাকিস্তান হয়ে মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কিছু ফ্লাইট এখন বিকল্প রুটে চলাচল করছে। এখন পর্যন্ত কোনো ফ্লাইট বাতিল হয়নি, তবে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে।

এদিকে, বার্তা সংস্থার সংবাদে বলা হয়েছে, ভারতের সশস্ত্র বাহিনী ‘অপারেশন সিন্দুর’ অভিযানে পাকিস্তান ও আজাদ কাশ্মিরের অন্তত নয়টি স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। এই সামরিক উত্তেজনার কারণে পাকিস্তানের আকাশসীমায় জরুরি সতর্কতা জারি করা হয়েছে, যার প্রভাব পড়ছে আন্তর্জাতিক আকাশপথ ব্যবস্থাপনায়।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, চলমান উত্তেজনা দক্ষিণ এশিয়ার আকাশপথে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তবর্তী আঞ্চলিক বিমান চলাচলে। লন্ডন স্কুল অব ইকনমিকস এর দক্ষিণ এশিয়া নিরাপত্তা বিশ্লেষক ড. মাইকেল রবার্টস বলেছেন :”ভারতের এই সামরিক পদক্ষেপ শুধু কাশ্মির কেন্দ্রিক সীমান্ত উত্তেজনাই নয়, বরং পুরো দক্ষিণ এশিয়ার বিমান নিরাপত্তা কাঠামোকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। পাকিস্তানের আকাশপথ একাধিক আন্তর্জাতিক ফ্লাইট রুটের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট, এবং তা অনিরাপদ হলে এর প্রভাব বাংলাদেশসহ পুরো অঞ্চলে পড়বে।”

এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ ও সিনিয়র অ্যাডভাইজার সারাহ টমলিনসন বলেছেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে এয়ারলাইন্সগুলোর পক্ষে বিকল্প রুটে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই। দক্ষিণ এশিয়ায় যুদ্ধঘেঁষা অবস্থা থাকলে বিমানের জন্য ইনস্যুরেন্স কভারেজও ব্যয়বহুল হয়ে পড়ে। এতে যাত্রী পরিবহন খরচ বাড়ে এবং ফ্লাইট সিডিউল বিঘ্নিত হয়।”