বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: রাজধানীর সিএমএম আদালত প্রাঙ্গণে মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) আবারও আলোচনায় এলেন মডেল মেঘনা আলম। হাতে পবিত্র কোরআন শরীফ নিয়ে গণমাধ্যমের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি জানান, সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূতকে তিনি ‘রিজেক্ট’ করেছেন। তার দেওয়া উপহারও ফেরত দিয়েছেন, তবে ধর্মীয় অনুভূতির কারণে কেবল কোরআন, বোরকা ও জায়নামাজ নিজের কাছে রেখেছেন।
মেঘনা আলম বলেন, “সৌদি রাষ্ট্রদূত আমাকে বিয়ের আংটি পরিয়ে ঘরে তুলতে চেয়েছিল। আমি তাকে রিজেক্ট করেছি, রিজেক্ট। তারপরও কেন আমাকে দিনের পর দিন হয়রানি করা হচ্ছে? মৃত্যুর হুমকি দেওয়া হচ্ছে? আমার দেশের সরকার কীভাবে বিদেশিদের কাছে ওয়াদাবদ্ধ হয় যে আমাকে মৃত্যুদণ্ড দেবে?”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, স্বৈরাচারের আমলের মতো এখনো বিচার ব্যবস্থার ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। আদালতে দাঁড়িয়ে মিথ্যা বলার কারণে বিচার ব্যবস্থা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
আদালতের সিদ্ধান্ত
এদিন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমানের আদালতে হাজির হন মেঘনা আলম। তিনি জব্দ থাকা মোবাইল ফোন, আইপ্যাড ও পাসপোর্ট নিজের জিম্মায় চাইলেও আদালত তা নামঞ্জুর করেন।
সৌদি দূতাবাসের সম্মান প্রসঙ্গ
মেঘনা আলম বলেন, সৌদি দূতাবাস তাকে কোরআন দিয়েছেন। এটি তাদের সম্মানের প্রতীক, আর সে সম্মান তিনি বহন করছেন। তার ভাষায়, “আপনাদের মধ্যে যদি মানবতা থাকে, তাহলে আমি বলব, এ হয়রানি থেকে আমাকে মুক্ত করুন।”
মামলার পটভূমি
গত ৯ এপ্রিল মেঘনা আলমকে বাসা থেকে আটক করা হয়। পরে প্রতারণা ও চাঁদাবাজির মামলায় তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। পাশাপাশি ডিটেনশন আইনে ৩০ দিনের আটকাদেশ দেন আদালত। তবে গত ২৮ এপ্রিল ডিটেনশন আইনের সেই আদেশ বাতিল হয় এবং তিনি কারামুক্ত হন। বর্তমানে তিনি জামিনে রয়েছেন।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, মেঘনা আলম ও তার সহযোগীরা একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তারা বিভিন্ন বিদেশি কূটনীতিক ও দেশীয় ধনী ব্যবসায়ীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং পরে সম্মানহানির ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করত।
আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু
সৌদি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মেঘনা আলমের ব্যক্তিগত সম্পর্ক ও উপহার ফেরত দেওয়ার প্রসঙ্গ ইতিমধ্যেই বিভিন্ন গণমাধ্যমে আলোচিত হয়েছে। এবার আদালত প্রাঙ্গণে কোরআন হাতে দাঁড়িয়ে তিনি বিষয়টি নতুন করে সামনে আনলেন।