Home Second Lead মোটরসাইকেল উত্থান: নগর যানজট ও সড়ক নিরাপত্তায় সংকট

মোটরসাইকেল উত্থান: নগর যানজট ও সড়ক নিরাপত্তায় সংকট

ছবি: এ আই।
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: রাজধানীর সরু বিচ্ছিন্ন গলিপথ থেকে মহাসড়কের পথ-মঞ্চ পর্যন্ত মোটরসাইকেল সংখ্যা গত দেড় দশকে অগ্রহণযোগ্যভাবে বেড়েছে এবং এটি দিনে দিনে দুর্ঘটনা ও যানজটের মূল কারণ হয়ে উঠেছে। মাল্টি-অ্যাপ সাহিত্যে অধ্যরিত কালের শুরুতে হাজার হাজার যুবক জীবিকায় সাময়িক রোজগারের লক্ষ্য নিয়ে মোটরসাইকেল ক্রয় করে চালক হিসেবে যুক্ত হয়েছিলেন এবং সেই প্রবণতা পরে মোটরসাইকেল সাধারণ সরঞ্জামে রূপ নিল। পরিসংখ্যান বলছে ২০২৪ সালে মোটরসাইকেল সম্পর্কিত রাস্তাঘাটের দুর্ঘটনা বেশিরভাগ নজির রেখেছে; দেশজুড়ে রাস্তায় নিহত ও আহতের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ মোটরসাইকেল সংশ্লিষ্ট ছিল।

নগরীর কেন্দ্রগুলোতে রিকশা-ট্যাক্সির মতো একই বিন্যাসে শতশত মোটরসাইকেল দাঁড়িয়ে থেকে দরদাম করে যাত্রী নেওয়া এখন স্বাভাবিক দৃশ্য। ভারতের ও অন্যান্য রিজিয়নের অভিজ্ঞতা ও গবেষণায় দেখা গেছে মোবাইল অ্যাপ চালিত সেবার কারণে মোটরসাইকেলের সংখ্যা বাড়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা গেছে এবং বিশেষ নীতিমালা ছাড়া সেই বৃদ্ধি দীর্ঘমেয়াদে নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে ওঠে। স্থানীয় গবেষণাও ইঙ্গিত দেয় যে শহরের রাস্তার ব্যবহার, পার্কিং কর্তৃত্বহীনতা ও ইঞ্জিনিয়ারিং অপর্যাপ্ততার কারণেই সড়কে অনিয়ন্ত্রিত মোটরসাইকেল কৃত্রিমভাবে যানজট ও দুর্ঘটনা বাড়াচ্ছে।

পরিসংখ্যান ও গবেষণা দিয়ে দেখা যায় মোটরসাইকেল অংশগ্রহণ করলে মর্মান্তিক ফলাফলের ঝুঁকি অনেক উচ্চ। সাম্প্রতিক গবেষণায় বলা হয়েছে মোটরসাইকেল নিহতের হার অন্যান্য যানবাহনের তুলনায় অস্বাভাবিকভাবে বেশি এবং এটি একটি ক্রমবর্ধমান স্বাস্থ্যঝুঁকি হিসেবে ধরা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকা মোটরসাইকেল, হেলমেট না পরা, পথভূমি অনুপযুক্ততা ও ট্রাফিক আইন প্রয়োগের ঘাটতি একসাথে দুর্ঘটনার পরিমাণ বাড়াচ্ছে।

নির্বাহী ও বাস্তব করণীয় নিয়ে প্রশ্ন এখন প্রকট। কেবল শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যথেষ্ট নয়। পরিকল্পিত নীতিতে উচিত হচ্ছে নিবীড়ভাবে গাড়ির জোনিং, মোটরসাইকেলের পার্কিং নিয়ন্ত্রণ, শহরের ভেতরে নির্ধারিত চালান পথ, কাঁচামাল মানে পথের সংস্কার ও আলোকচিত্রিক সাইনবোর্ড স্থাপন। একই সাথে চালকদের প্রশিক্ষণ ও লাইসেন্স পরীক্ষা কঠোর করা, হেলমেট পরিধান নিশ্চিতে প্রচার ও জরিমানা কার্যকর করা প্রয়োজন। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাকে প্রযুক্তি ব্যবহার করে সঙ্কটমোচনে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।

তবে বাস্তবতা বলছে আটকে পড়া সমস্যা সমাধান সহজ নন। অনেকে মোটরসাইকেলকে তাদের একমাত্র আয়রাস্তায় পরিণত করেছেন; তাই নীতি যখনই বদলাবে, বিকল্প কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচিও একসঙ্গে নিতে হবে। একই সাথে নগর পরিকল্পনায় সাধারণ পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন, মেট্রো ও বাস সিস্টেম সম্প্রসারণ এবং পথচারী ও সাইকেলের জন্য নির্দিষ্ট লেন তৈরির দিকে ত্বরান্বয় প্রয়োজন। সমাজ-অর্থনৈতিক দিক বিবেচনা করে একসঙ্গে আবারও চালক ও চালকের পরিবারের জন্য সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা চালু করলে প্রধান লঙ্ঘনগুলো নিয়ন্ত্রিত হতে পারে।

সংক্ষেপে, মোটরসাইকেলের বহুগুণ বৃদ্ধির ফলে নগর পথে সৃষ্টি দ্রুতগতির অযোগ্যতার প্রকোপ বিন্দুমাত্র কমেনি। মৃত্যুর হার ও শারীরিক ক্ষতির সংখ্যাকে কমাতে দরকার সম্মিলিত নীতি, শক্ত নিয়ন্ত্রণ ও বিকল্প উপার্জন পরিকল্পনা। সরকার, সিটি কর্পোরেশন, আইন প্রয়োগকারী বিভাগ ও নাগরিক সমাজ মিলেই যদি সড়ক নিরাপত্তা অগ্রাধিকার করেন, তাহলে নগর পথ আবারও নিরাপদ করা সম্ভব হবে।