আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি সংক্রান্ত ঘোষণাকে ‘মিথ্যাচার’ আখ্যা দিয়েছে তেহরান। ইরানি শীর্ষ কর্মকর্তারা বলেছেন, ট্রাম্পের এমন ঘোষণা কৌশলগতভাবে জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য এবং ইরান সরকারের ওপর অভ্যন্তরীণ চাপ তৈরির জন্য দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার ভোরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করেন, ইরান ও ইসরায়েল “পূর্ণ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে” এবং তা ১২ ঘণ্টার মধ্যে কার্যকর হবে। তবে তেহরানের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে এই দাবি প্রত্যাখ্যান করা হয়।
ইরানের পার্লামেন্ট স্পিকারের উপদেষ্টা মাহদি মোহাম্মাদি এক্স-এ (সাবেক টুইটার) পোস্টে লেখেন, “যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল মিথ্যা বলছে। তারা চায় আমরা গার্ড নামিয়ে ফেলি, যেন তারা আরও আগ্রাসী হতে পারে।”
তেহরান টাইমসের বরাতে জানা গেছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এর আগেও এ ধরনের বিভ্রান্তিকর বার্তা দিয়েছেন। তিনি একবার বলেছিলেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানো হবে কিনা তা জানতে তাকে ‘আরো দুই সপ্তাহ’ সময় দিতে হবে। অথচ তখনই তিনি গোপনে ইসরায়েলকে সামরিক হামলার সবুজ সংকেত দিয়ে রেখেছিলেন।
গত ১৩ জুন শুরু হওয়া এই সংঘাতে ইসরায়েল ইরানের আবাসিক এলাকা এবং পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর নজিরবিহীন হামলা চালিয়েছে। ওই সময় ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ষষ্ঠ দফা আলোচনার প্রস্তুতি চলছিল।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্প প্রশাসনের এই কৌশল মূলত মনস্তাত্ত্বিক চাপ সৃষ্টির অংশ। তারা মনে করছেন, ইরানের জনগণকে সরকারের বিরুদ্ধে উত্তেজিত করতেই এমন ভুয়া যুদ্ধবিরতির গল্প ছড়ানো হচ্ছে।
বর্তমানে তেহরান এবং ইসরায়েল উভয়পক্ষের মধ্যে চরম সামরিক উত্তেজনা বিরাজ করছে। যুদ্ধ পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।