Home চট্টগ্রাম অর্থনৈতিক অঞ্চলে হামলা ও চাঁদাবাজি: যুবদল নেতা সোহাগ গ্রেপ্তার

অর্থনৈতিক অঞ্চলে হামলা ও চাঁদাবাজি: যুবদল নেতা সোহাগ গ্রেপ্তার

শওকত আকবর সোহাগ (৪৫)

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম: মিরসরাইয়ে অবস্থিত জাতীয় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের (বেজা) গুরুত্বপূর্ণ শিল্পপ্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ অটো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড-এ সন্ত্রাসী হামলা ও চাঁদাবাজির ঘটনায় যুবদল নেতা শওকত আকবর সোহাগকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে শিল্প-বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানকে ঘিরে গড়ে ওঠা স্বপ্নের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ায়।

সোমবার দিবাগত রাতে মিরসরাইয়ের বাড়িয়াখালী এলাকা থেকে সোহাগকে গ্রেপ্তার করে জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত সোহাগ চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক এবং মৃত মফিজুর রহমানের ছেলে।

মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক কামরুল হোসাইন বাদী হয়ে জোরারগঞ্জ থানায় দায়ের করা মামলায় অভিযোগ করা হয়, সোমবার বিকেল ৫টার দিকে শওকত সোহাগের নেতৃত্বে ৮-১০টি মোটরসাইকেলে করে প্রায় ২০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল কারখানায় অনুপ্রবেশ করে। তারা প্রকাশ্যে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেওয়ায় জেনারেল ম্যানেজার হাসিবুল হাসান, প্রজেক্ট ম্যানেজার আব্দুস সামাদসহ কয়েকজন কর্মকর্তাকে মারধর ও গুরুতর জখম করা হয়। হামলাকারীরা হাসিবুল হাসানের পকেট থেকে ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়।

পুলিশ জানায়, ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত সোহাগকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে। মামলায় মোট ১২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, পাশাপাশি অজ্ঞাত আরও ৮-১০ জনকেও আসামি করা হয়েছে।

এই ঘটনায় যেসব নাম এসেছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন সোহাগের ভাই শাহাজাহান আকবর, আলাউদ্দিন, সালাউদ্দিন, মোশাররফ হোসেন, দিদারুল আলম, আরিফ হোসেন, মো. ইউনুস, আনোয়ার, মো. জাহাঙ্গীর, হারুন অর রশিদ এবং কুমিল্লার সোহেল আহম্মেদ। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে।

অর্থনৈতিক অঞ্চলের শিল্প-কারখানায় এমন ভয়াবহ চাঁদাবাজির ঘটনা শুধু বিনিয়োগের পরিবেশকে প্রশ্নবিদ্ধ করে না, বরং দেশে শিল্পায়নের ভবিষ্যৎকেই হুমকির মুখে ফেলে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে প্রত্যাশা, অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হোক। শিল্প-বিনিয়োগে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজন কঠোর নজরদারি ও অপরাধের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন।