বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, সুনামগঞ্জ: তাহিরপুরে চুরির অভিযোগে এক যুবলীগ নেতাকে হাত-পা বেঁধে মারধরের ঘটনায় পুরো এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ভুক্তভোগী ওই নেতা ইছা মিয়া (৩৫), উপজেলার দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের সাধেরখলা গ্রামের সায়েদ আলীর ছেলে এবং ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
স্থানীয়রা জানান, গত ৩১ মে রাতে সাধেরখলার হাজী এম এ জাহের উচ্চ বিদ্যালয়সংলগ্ন রহিম মিয়ার দোকানে চুরির ঘটনা ঘটে। পরদিন সকালে চোর সন্দেহে ইছা মিয়াকে ধরে এনে দোকান ঘরের খুঁটিতে হাত-পা বেঁধে মারধর করা হয়। সেই ঘটনার একাধিক ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে ফেইসবুকে। ভিডিওতে দেখা যায়, ইছা মিয়া বেঁধে রাখা অবস্থায় কান্নাজড়ানো কণ্ঠে চুরির দায় স্বীকার করছেন এবং আরও কয়েকটি বাড়ি ও মসজিদে চুরির কথা জানাচ্ছেন।
গ্রামবাসীর দাবি, তার কাছ থেকে কিছু চুরি হওয়া মালামালও উদ্ধার করা হয়েছে। তবে, পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ এগিয়ে না এলে, গ্রামবাসীরা ইউপি সদস্য রোপণ মিয়াকে খবর দেয়। পরে উপস্থিত গণ্যমান্যদের সামনে ইছা মিয়ার কাছ থেকে মুসলেকা লিখিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। পার্শ্ববর্তী আমতইল গ্রামের নুর আলম ফেইসবুকে লেখেন, “ইছা মিয়া ভয়ঙ্কর এক চোর। মসজিদ পর্যন্ত সে ছাড়ে না। আমার বাড়ি থেকেও সে টাকা ও অলঙ্কার চুরি করেছে। তার ভয়ে লাকমা থেকে শুরু করে আশেপাশের গ্রামের মানুষ রাতজেগে পাহারা দেয়।”
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য রোপণ মিয়া জানান, “আমরা বহুদিন ধরেই এমন অভিযোগ পাচ্ছি। গ্রামবাসী ইছা মিয়াকে ধরে এনে মারধর করে। পরে সে নিজেই স্বীকার করে এবং কিছু মালামাল ফেরত দেয়। এরপর তাকে মুসলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।”
তাহিরপুর থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন বলেন, “চুরির অভিযোগে কেউ থানায় আসেনি। আর কাউকে চোর সন্দেহে বেঁধে রাখার অধিকার কারও নেই। এটা আইনবিরুদ্ধ। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এ ঘটনার পর সাধেরখলায় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। তবে প্রশ্ন উঠেছে—জনগণের হাতে বিচার না হয়ে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ না থাকলে এমন পরিস্থিতি আরও কতদূর যেতে পারে?
আপনার এলাকার এমন কোনও ঘটনা বা তথ্য আমাদের জানাতে পারেন। নির্ভয়ে লিখুন বিজনেসটুডে২৪.কম-কে। সঠিক তথ্য তুলে ধরতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
👉 নিচের মন্তব্য ঘরে মতামত দিন
📩 ইনবক্স করুন আমাদের ফেসবুক পেইজে
🌐 নিয়মিত আপডেট পেতে ভিজিট করুন: businesstoday24.com
