বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, রাঙামাটি: রাঙামাটিতে কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে জেলার একাধিক উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। জলমগ্ন হয়ে পড়েছে বসতঘর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সড়ক ও কৃষিজমি। অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন শত শত মানুষ।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত জেলার কাউখালী, বাঘাইছড়ি, জুরাছড়ি, বরকল, বিলাইছড়ি, নানিয়ারচর ও রাঙামাটি সদর উপজেলার সাপছড়ি ইউনিয়নের বিভিন্ন নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে পড়েছে। কাউখালী খাল ও ইছামতী নদীর পানি অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ায় প্লাবিত হয়েছে এলাকার অন্তত দু’টি স্কুল, একটি কলেজ ও ২১টি আশ্রয়ণ প্রকল্পের বসতঘর।
কাউখালীতে ৬১টি পরিবারের অন্তত ২১০ জন আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা। জেলা জুড়ে এখন পর্যন্ত ৫৫০ জন ক্ষতিগ্রস্ত এবং ৩২টি ঘর আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাশাপাশি, একাধিক এলাকায় আংশিক পাহাড় ধসের খবর পাওয়া গেছে।
বাঘাইছড়ি পৌর এলাকায় আশপাশের কয়েকটি গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। ইউএনও শিরীন আক্তার জানিয়েছেন, ৫৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা রাখা হলেও সেখানে লোকজনের উপস্থিতি আশানুরূপ নয়।
রাঙামাটি সদর উপজেলার ইউএনও রিফাত আসমা জানান, সাপছড়ি ইউনিয়নে জনজীবন চরমভাবে বিপর্যস্ত। প্রায় ২০০টি পরিবার সরাসরি ক্ষতির মুখে পড়েছে।
জুরাছড়িতে জামুরাছড়ি ও শীলছড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পানিতে তলিয়ে গেছে। সেখানে ছয়দিন ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা জানিয়েছেন, ১১টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা থাকলেও এখনো কেউ সেখানে যায়নি।
জেলা প্রশাসনের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, রবিবার রাত পর্যন্ত ৬৭২ জন মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। ৫৩টি ঘরবাড়ি আংশিক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে এবং ৬৩ হেক্টর কৃষিজমির ফসল নষ্ট হয়েছে।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ (মারুফ) জানান, আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে অবস্থানকারীদের তিনবেলা খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। দুর্গতদের আশ্রয় কেন্দ্রে ওঠার জন্য একাধিকবার অনুরোধ জানানো হয়েছে। পাশাপাশি দুর্যোগ মোকাবিলায় জরুরি টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
🌐 ভিজিট করুন: www.businesstoday24.com
📩 ইনবক্স করুন: facebook.com/businesstoday24