Home আন্তর্জাতিক হজযাত্রীদের জন্য আরাফাতে রাবার অ্যাসফল্টে নির্মিত নতুন পথ

হজযাত্রীদের জন্য আরাফাতে রাবার অ্যাসফল্টে নির্মিত নতুন পথ

মসজিদে নামিরাহ থেকে রেলস্ট্রেশ পর্যন্ত নির্মিত রাবার অ্যাসফল্ট নির্মিত পথ ্ ছবি সংগৃহীত


পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির প্রয়োগে হাঁটার পথ হবে আরও আরামদায়ক ও নিরাপদ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

মক্কা: চলতি বছরের হজে অংশ নিতে যাওয়া মুসলমানদের জন্য হাঁটার পথ হবে আগের চেয়ে অনেক বেশি আরামদায়ক ও নিরাপদ। সৌদি আরবের সড়ক বিভাগ রাবার অ্যাসফল্ট নামে একটি নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে হজপথে হাঁটার অভিজ্ঞতা আরও উন্নত করার উদ্যোগ নিয়েছে।

সৌদি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এ বছর নমনীয় রাবার অ্যাসফল্টে নির্মিত পথের পরিমাণ ৩৩ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। এর অংশ হিসেবে আরাফাতের নামিরাহ মসজিদ থেকে আল-মাশায়ের ট্রেন স্টেশন পর্যন্ত রাস্তায় এই প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়েছে, যা এখন মোট ১৬ হাজার বর্গমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত।

সৌদি প্রেস এজেন্সির (এসপিএ) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিত্যক্ত টায়ারকে পোড়ানো হলে তা পরিবেশ দূষণের একটি বড় উৎস হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু এই নতুন পদ্ধতিতে সেসব টায়ারকে পুনঃব্যবহার করে এমন এক ধরনের নমনীয় অ্যাসফল্ট তৈরি করা হয়, যা হাঁটার সময় আঘাত শোষণ করে এবং হাঁটাচলার জন্য আরামদায়ক অনুভূতি দেয়।

সৌদি সড়ক কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রচলিত অ্যাসফল্ট বা ফুটপাথের কারণে হজের সময় বিশেষ করে বয়স্কদের পায়ে ও গোড়ালিতে ব্যথা ও আঘাতের হার বেশি দেখা যায়। উল্লেখ্য, হজযাত্রীদের মধ্যে ৫৩ শতাংশই প্রবীণ।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, হজের সময় যে পরিমাণ পা ও গোড়ালির আঘাতজনিত চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়, তার মধ্যে প্রায় ৩৮ শতাংশই ঘটে থাকে সাধারণ রাস্তায় হাঁটার ফলে। নমনীয় রাবার অ্যাসফল্ট এই আঘাতের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে সাহায্য করবে।

এই উদ্ভাবন সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০-এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যা টেকসই উন্নয়ন, স্মার্ট শহর গঠন এবং দেশি-বিদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তা ও আরামের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে।

এদিকে হজ ২০২৫ সালের আনুষ্ঠানিক তারিখ নির্ভর করছে চাঁদ দেখার ওপর। তবে সম্ভাব্য দিন ৪ জুন ধরা হচ্ছে।

সৌদি পাসপোর্ট অধিদপ্তর জানিয়েছে, ২১ মে ২০২৫ পর্যন্ত হজে অংশ নিতে বিমানে, সড়কপথে ও সমুদ্রপথে সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ৭ লাখ ৫৫ হাজার ৩৪৪ জন বিদেশি হজযাত্রী।

এ বছরও সবচেয়ে বড় হজ কাফেলা ইন্দোনেশিয়ার। গত বছর ইন্দোনেশিয়া থেকে হজে গিয়েছিলেন ২ লাখ ২১ হাজার মুসল্লি। এর পরেই ছিল পাকিস্তান (১ লাখ ৮০ হাজার), ভারত (১ লাখ ৭৫ হাজার ২৫), বাংলাদেশ (১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮) এবং নাইজেরিয়া (৯৫ হাজার)।


👉 আপনার পরিচিত কেউ এ বছর হজে যাচ্ছেন? মক্কার এই নতুন রাস্তাঘাটের সুবিধা সম্পর্কে জানাতে শেয়ার করুন প্রতিবেদনটি! আরও হজসংক্রান্ত খবর ও আপডেট পেতে নিয়মিত ভিজিট করুন বিজনেসটুডে২৪.কম।