বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, রাজশাহী: রাজশাহীর পবা উপজেলার নন্দনগাছীর বালুদিয়াড় মাদ্রাসা মোড় এলাকায় রেললাইনের পাত ভেঙে যাওয়ায় প্রায় আড়াই ঘণ্টা সারাদেশের সঙ্গে রাজশাহীর রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাত পৌনে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে দ্রুত মেরামত শেষে রাত সোয়া ১২টার দিকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাত পৌনে ১০টার দিকে রাজশাহী থেকে পঞ্চগড়গামী বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস ট্রেনটি নন্দনগাছী রেলস্টেশন অতিক্রম করে। এর কিছুক্ষণ পর এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা রেললাইনের এক অংশে ফাটল ও পাত ভেঙে যাওয়ার বিষয়টি চোখে পড়েন।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন,“আমরা দেখতে পাই রেললাইনের পাত ফেটে গেছে। যদি আরেকটি ট্রেন তখন দ্রুতগামী হয়ে আসত, তাহলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। আমরা সঙ্গে সঙ্গে রেল কর্তৃপক্ষকে ফোন করে জানাই।”
খবর পেয়ে রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন এবং লালমনিরহাট বিভাগের রেলকর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান। মেরামত কাজে ব্যবহৃত হয় জরুরি সরঞ্জাম ও টুলস। প্রায় আড়াই ঘণ্টা টানা কাজের পর ক্ষতিগ্রস্ত অংশ ঠিক করা হয়।
রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার শহীদুল ইসলাম বলেন,“আমরা খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দল পাঠাই। রাত সোয়া ১২টার মধ্যে লাইন মেরামত করে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে।”
লাইন ভাঙার কারণে রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেসসহ কয়েকটি ট্রেন বিভিন্ন স্টেশনে আটকে যায়। যাত্রীরা দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় থেকে ভোগান্তিতে পড়েন। লাইন মেরামতের পর পর্যায়ক্রমে ট্রেনগুলো গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
ঢাকাগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেসের এক যাত্রী বলেন,“আমরা প্রায় দুই ঘণ্টা স্টেশনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। প্রথমে ভয় লাগছিল, পরে শুনলাম লাইন ভেঙেছে। ভালো লাগছে যে দুর্ঘটনা হয়নি।”
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই ঘটনায় কোনো প্রাণহানি বা বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে কেন লাইন ভেঙেছে—তা জানতে তদন্ত চলছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত চাপ বা ধাতব ক্লান্তির (metal fatigue) কারণে পাত ফেটে যেতে পারে।
রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, লাইন ভাঙার মতো ঘটনা দুর্ঘটনার বড় ঝুঁকি তৈরি করে। তাই নিয়মিত পরিদর্শন ও রক্ষণাবেক্ষণ বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।