Home আন্তর্জাতিক চীনা পণ্যে শুল্কের জেরে লসঅ্যাঞ্জেলেস বন্দরে ৩৫% কার্গো হ্রাসের আশঙ্কা

চীনা পণ্যে শুল্কের জেরে লসঅ্যাঞ্জেলেস বন্দরে ৩৫% কার্গো হ্রাসের আশঙ্কা

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ব্যস্ত কনটেইনার বন্দর লস অ্যাঞ্জেলেস (Port of LA) আগামী সপ্তাহে আমদানি কার্গোতে ৩৫ শতাংশেরও বেশি পতনের পূর্বাভাস দিয়েছে। বন্দরের নির্বাহী পরিচালক জিন সারোকা সিএনবিসি’র ‘স্কোয়াক বক্স’ অনুষ্ঠানে বলেন, চীনা পণ্যে নতুন শুল্কের কারণে আমদানি কার্যক্রমে এ বিপর্যয় দেখা দিতে যাচ্ছে।

সারোকা জানান, “আমাদের নিজস্ব পোর্ট অপটিমাইজারের তথ্য অনুযায়ী, এশিয়া থেকে পণ্য লোডিং আগের বছরের তুলনায় ৩৫ শতাংশেরও বেশি কমে যাবে। এটি একটি তাৎপর্যপূর্ণ পতন, যার পেছনে রয়েছে মার্কিন খুচরা বিক্রেতাদের চীন থেকে পণ্য আনা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া।”

বর্তমানে লস অ্যাঞ্জেলেস বন্দরের ব্যবসার প্রায় ৪৫ শতাংশই চীনা পণ্যের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে এই প্রবাহ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে আসছে। সারোকার মতে, “চীনের সঙ্গে কোনো চুক্তি বা সমঝোতা না হলে এই পরিস্থিতির উন্নতি কঠিন। কয়েকটি নির্দিষ্ট পণ্য ছাড়া আমদানি কার্যক্রম প্রায় স্থবির হয়ে যাবে।”

তিনি আরও বলেন, “মার্কিন খুচরা প্রতিষ্ঠানগুলোর হাতে এখনো পাঁচ থেকে সাত সপ্তাহের মতো ইনভেন্টরি রয়েছে। এরপরই পণ্যের ভ্যারাইটি কমে আসবে। হয়তো আপনি দোকানে গিয়ে দেখবেন ১১টা বেগুনি শার্ট রয়েছে, কিন্তু আপনার সাইজের নীলটা নেই। এবং যা থাকবে, তার দামও বাড়বে।”

জাতীয় খুচরা বিক্রেতা ফেডারেশন (NRF) এবং হ্যাকেট অ্যাসোসিয়েটসের প্রকাশিত ‘গ্লোবাল পোর্ট ট্র্যাকার’ রিপোর্ট অনুযায়ী, সারাদেশের কনটেইনার বন্দরে আমদানি কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য পতনের আশঙ্কা করা হচ্ছে। NRF-র ভাইস প্রেসিডেন্ট জনাথন গোল্ড বলেন, “শুল্ক মানে কর, যা শেষ পর্যন্ত ভোক্তার ওপরই পড়ে। এটি মার্কিন ব্যবসা ও পরিবারগুলোর মধ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি করছে।”

বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে চীনের ওপর ধারাবাহিকভাবে আরোপিত কঠোর শুল্কের ফলে মার্কিন আমদানিকারকরা হয় উচ্চ মূল্যে পণ্য আমদানি করতে বাধ্য হচ্ছেন, নয়তো চাহিদাসম্পন্ন পণ্য আনতে পারছেন না। এর ফলে ভবিষ্যতে বন্দরে হাজারো অনাদায়ী কনটেইনার জমে থাকতে পারে, যা আবারও কোভিড-পরবর্তী সরবরাহ সংকটের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে পারে।

সব মিলিয়ে, আমদানি শুল্ক ও বাণিজ্য সীমাবদ্ধতা মার্কিন বাজারে ভোক্তাদের পছন্দ ও দামে বিরূপ প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।