বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, রাজশাহী : রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এবারের উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষায় সাত বছরের রেকর্ড ভেঙে শতভাগ ফেল করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে। এবার মোট ৩৫টি কলেজে একজন শিক্ষার্থীও পাস করতে পারেনি। ২০১৯ সালের পর থেকে এটি সর্বাধিক সংখ্যা।
শিক্ষাবোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে শতভাগ ফেল করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল মাত্র ৭টি। ২০২০ ও ২০২১ সালে করোনার কারণে অটোপাস চালু থাকায় শূন্যে নেমে আসে এই সংখ্যা। ২০২২ সালে আবারও ৯টি প্রতিষ্ঠান পাসশূন্য ছিল। ২০২৩ সালে তা কমে দাঁড়ায় ৪টিতে। কিন্তু ২০২৪ সালে সংখ্যাটি বেড়ে হয় ১২টি, আর চলতি বছর ২০২৫ সালে তা প্রায় তিনগুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫-এ।
সবচেয়ে বেশি পাসশূন্য প্রতিষ্ঠান পাওয়া গেছে নাটোর জেলায়—মোট ১১টি। রাজশাহী, নওগাঁ ও সিরাজগঞ্জ জেলায় পাঁচটি করে, পাবনা ও জয়পুরহাটে তিনটি করে, বগুড়ায় দুটি এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জে একটি প্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থীই পাস করতে পারেনি।
শতভাগ ফেল করা কিছু প্রতিষ্ঠানের তালিকা:
বগুড়ার কাহালু উপজেলার আলামেরা তাকিয়া হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও ধুনট উপজেলার গোসাইবাড়ি মহিলা কলেজ; রাজশাহীর পবা উপজেলার বয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মোহনপুরের মৌগাছী কলেজ, দুর্গাপুরের দবিপুর কলেজ, বাগমারার কাতিলা সবুজ সংঘ আদর্শ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, তানোরের মঞ্জুমালা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ; সিরাজগঞ্জের খুকনি মাল্টিলেটারাল হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, শাহাজাদপুর ড. মোজাহারুল ইসলাম মডেল কলেজ, ছোনগাছা মহিলা কলেজ, মধুনগর আদিবাসী আদর্শ কলেজ, রাণীরহাট আদর্শ কলেজ; নওগাঁর শংগশোল আদিবাসী স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মান্দা এস.সি. মডেল পাইলট হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, বদলগাছীর বালুভরা আর বি হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, সাহেবগঞ্জ টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ, ভার্সো হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজসহ আরও বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে এই তালিকায়।
শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, মানসম্মত শিক্ষক সংকট, শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতি এবং বিজ্ঞান ও বাণিজ্য বিভাগে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যাওয়া—এসব কারণেই এমন হতাশাজনক ফল হয়েছে। তারা দ্রুত এসব প্রতিষ্ঠানে একাডেমিক পর্যালোচনা ও শিক্ষার মান উন্নয়নে পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।