বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের আওতাধীন পাঁচটি কলেজে এবার এইচএসসি পরীক্ষায় শূন্য পাসের ঘটনা ঘটেছে। অন্যদিকে, আটটি কলেজ শতভাগ পাসের গৌরব অর্জন করেছে। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) প্রকাশিত ২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে এ তথ্য জানা গেছে।
ফলাফলে দেখা যায়, শূন্য পাস করা কলেজগুলো হলো: চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও থানার মেরন সান কলেজ, একই এলাকার মেরিট বাংলাদেশ কলেজ, পাহাড়তলী থানার সরাইপাড়া সিটি কর্পোরেশন কলেজ, পাঁচলাইশ থানার চট্টগ্রাম জিলা কলেজ এবং কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার চকরিয়া কমার্স কলেজ। এসব প্রতিষ্ঠানের মোট ৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিলেও কেউই পাস করতে পারেননি।
অন্যদিকে, শতভাগ পাস করা আটটি কলেজ হলো— চট্টগ্রাম নগরের হালিশহর থানার ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বায়েজিদ বোস্তামী থানার ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুল অ্যান্ড কলেজ, রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার বাংলাদেশ নৌবাহিনী স্কুল অ্যান্ড কলেজ কাপ্তাই, সীতাকুণ্ড উপজেলার বাড়বকুণ্ড হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ, বান্দরবানের লামা উপজেলার কোয়ান্টাম কসমো কলেজ, চট্টগ্রাম বন্দর এলাকার নৌবাহিনী অ্যাঙ্করেজ স্কুল অ্যান্ড কলেজ চট্টগ্রাম এবং আনোয়ার উপজেলার কাফকো স্কুল অ্যান্ড কলেজ।
এই কলেজগুলোর ১,০৮৭ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে সবাই উত্তীর্ণ হয়েছে। এর মধ্যে ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৩৫৪, ক্যান্টনমেন্ট ইংলিশ স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৩১০, নৌবাহিনী স্কুল অ্যান্ড কলেজ কাপ্তাইয়ের ১৮৪, বাড়বকুণ্ড হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৮০, ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজের ৪৯, কোয়ান্টাম কসমো কলেজের ৬২, নৌবাহিনী অ্যাঙ্করেজ স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৩৪ এবং কাফকো স্কুল অ্যান্ড কলেজের ১৪ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়।
বোর্ডের সামগ্রিক ফলাফলে দেখা গেছে, চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে এ বছর গড় পাসের হার ৫২ দশমিক ৫৭ শতাংশ, যা গত বছরের ৭০ দশমিক ৩২ শতাংশের তুলনায় অনেক কম। গত বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১০ হাজার ২৬৯ শিক্ষার্থী, এ বছর তা কমে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৯৭ জনে।
জেলার ভিত্তিতে ফলাফলে দেখা যায়, খাগড়াছড়ি জেলার পাসের হার সবচেয়ে কম মাত্র ৩৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ। অন্যদিকে চট্টগ্রাম জেলায় পাসের হার ৫৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ, কক্সবাজারে ৪৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ, রাঙামাটিতে ৪১ দশমিক ১৪ শতাংশ এবং বান্দরবানে ৩৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সামগ্রিকভাবে ফলাফলের এ পতন শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতি, পাঠদানের মান ও পরীক্ষার প্রশ্ন কাঠামোর পুনর্মূল্যায়নের দাবি জানাচ্ছে।