হেলথ ডেস্ক: শিক্ষার যেমন কোনও বয়স নেই, তেমনই শরীরচর্চারও নির্দিষ্ট কোনও বয়স নেই। বার্ধক্যে পৌঁছেও শরীরচর্চা শুরু করা সম্ভব এবং তা নিরাপদও বটে—এমনটাই বলছে হার্ভার্ড হেলথ-এর সাম্প্রতিক গবেষণা।
গবেষকরা জানিয়েছেন, ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ব্যক্তিরাও সপ্তাহে অন্তত দুই দিন নিয়মিত শরীরচর্চা করতে পারেন। এমনকি প্রতিদিন অন্তত ১৫০ মিনিট হাঁটা বা নড়াচড়ার মধ্যে থাকলে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য স্বাস্থ্যঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়।
কীভাবে শুরু করবেন
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যাঁরা প্রথমবার শরীরচর্চা শুরু করবেন তাঁদের অবশ্যই আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এরপর কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে—
ধীরে শুরু করুন: প্রথমে হাঁটাহাঁটির মতো হালকা ব্যায়ামে অভ্যস্ত হন। শরীর মানিয়ে নিলে ধীরে ধীরে সময় ও তীব্রতা বাড়ান।
ওয়ার্ম-আপ ও কুল-ডাউন করুন: ব্যায়ামের আগে হালকা নড়াচড়া এবং শেষে শরীরকে বিশ্রাম দেওয়া আঘাত এড়াতে সাহায্য করে।
সঠিক ব্যায়াম বেছে নিন: হাঁটা, সাঁতার, যোগব্যায়াম, তাই-চি বা হালকা ওজন তোলা এই বয়সে সবচেয়ে উপযোগী। বিশেষ করে জলে শরীরচর্চা অস্থি-সন্ধির ব্যথায় ভোগা ব্যক্তিদের জন্য নিরাপদ।
শরীরচর্চার বিজ্ঞানসম্মত উপকারিতা
হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়: নিয়মিত ব্যায়াম রক্তনালীর স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায়।
পেশী ও হাড় মজবুত করে: ব্যায়াম পেশীর শক্তি ও হাড়ের ঘনত্ব বাড়ায়, ফলে ভারসাম্য বজায় থাকে এবং পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে: শরীরচর্চা ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়ায় ও রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করে: ব্যায়াম এন্ডোরফিন নিঃসরণ বাড়ায়, যা উদ্বেগ ও বিষণ্নতা কমায় এবং স্মৃতিশক্তি উন্নত করে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রবীণ বয়সে শরীরচর্চা শুরু করার মধ্য দিয়ে শুধু শারীরিক সক্ষমতা নয়, মানসিক সুস্থতাও বজায় রাখা যায়। তাই দেরি নয়—সঠিক পরামর্শ নিয়ে ধীরে ধীরে শরীরচর্চার অভ্যাস শুরু করা উচিত।