Home Second Lead হাদি হত্যার মূল ২ আসামি ভারতে , মেঘালয়ে গ্রেপ্তার ২: ডিএমপি

হাদি হত্যার মূল ২ আসামি ভারতে , মেঘালয়ে গ্রেপ্তার ২: ডিএমপি

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: রাজধানীর পল্টনে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহিদ শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডের তদন্তে বড় ধরনের অগ্রগতি হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত মূল সন্দেহভাজন ফয়সাল করিমের দুই সহযোগীকে ভারতের মেঘালয় থেকে আটক করা হয়েছে।

এছাড়া আগামী ৭ জানুয়ারির মধ্যে এই চাঞ্চল্যকর মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশ। আজ রবিবার সকালে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম।

পুলিশ জানায়, হত্যাকাণ্ডের প্রধান সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ ও আলমগীর শেখ হালুয়াঘাট সীমান্ত দিয়ে ভারতের মেঘালয়ে পালিয়ে গেছেন।  মেঘালয় পুলিশের সঙ্গে ‘অনানুষ্ঠানিক চ্যানেলে’ যোগাযোগ করে তাকে সহায়তাকারী দুই সহযোগী পুত্তি এবং স্বামী-কে আটক করা হয়েছে। মূল অভিযুক্ত ফয়সালকে গ্রেপ্তারে জোর তৎপরতা চলছে।অতিরিক্ত কমিশনার নজরুল ইসলাম জানান, এই হত্যাকাণ্ডটি ছিল অত্যন্ত সুপরিকল্পিত।

 মামলায় এখন পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ৬ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অভিযানে ২টি বিদেশি পিস্তল, ৫২ রাউন্ড গুলি, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল এবং ভুয়া নম্বর প্লেট উদ্ধার করা হয়েছে।৫৩টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের বিপরীতে ২১৮ কোটি টাকার চেক উদ্ধার করা হয়েছে, যা এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে কোনো বড় শক্তির যোগসূত্র নির্দেশ করে। তবে মূল পরিকল্পনাকারী ফয়সাল করিম গ্রেপ্তার না হওয়ায় হত্যার সুনির্দিষ্ট কারণ বা ‘মোটিভ’ সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ।

মামলার বিচারিক প্রক্রিয়া দ্রুত করার লক্ষ্যে আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে প্রাথমিক প্রতিবেদন এবং ৭ জানুয়ারির মধ্যে চূড়ান্ত চার্জশিট দাখিলের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

গত ১২ ডিসেম্বর জুমার নামাজ শেষে পল্টন বক্স কালভার্ট রোড দিয়ে যাওয়ার সময় মোটরসাইকেলে আসা ফয়সাল করিম ও তার সহযোগীরা শরিফ ওসমান হাদিকে লক্ষ্য করে চলন্ত অবস্থায় গুলি চালায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।