Home Second Lead শাবিপ্রবির ছাত্রী ধর্ষণ : আটক দুজন ৪ দিনের রিমান্ডে

শাবিপ্রবির ছাত্রী ধর্ষণ : আটক দুজন ৪ দিনের রিমান্ডে

শান্ত ও পার্থ

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, সিলেট: সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) এক ছাত্রীকে ধর্ষণ ও আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া দুই ছাত্রের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার (২৩ জুন) দুপুরে সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম হারুনুর রশিদ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

রিমান্ডে যাওয়া দুইজনই শাবিপ্রবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী। তারা হলেন: শান্ত তারা আদনান (২৩) ও স্বাগত দাস পার্থ (২২)। অভিযুক্তরা ভুক্তভোগী ছাত্রীর সরাসরি সহপাঠী।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক জানান, মামলার তদন্তের স্বার্থে পুলিশ পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে। শুনানির পর বিচারক চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তিনি বলেন, “এই ঘটনার পেছনে আর কারও সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা, তা বের করতেই রিমান্ডে নেওয়া হচ্ছে।”

ঘটনার সূত্রপাত গত ২০ জুন (বৃহস্পতিবার) বিকেলে। ভুক্তভোগী ছাত্রী লিখিত অভিযোগ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে। অভিযোগে তিনি জানান, গত ২ মে রাতে শান্ত ও স্বাগত তাকে সিলেট শহরের একটি কনসার্টে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ডেকে নেয়। তবে কনসার্টে না নিয়ে তাকে সুরমা এলাকার একটি মেসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাকে অচেতন করে ধর্ষণ করা হয় এবং গোপনে ভিডিও ধারণ করা হয়।

পরে সেই ভিডিও দেখিয়ে ছাত্রীর ওপর নিয়মিত ব্ল্যাকমেইল চালায় অভিযুক্তরা। প্রকাশ করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তাকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তোলে। অভিযোগ পাওয়ার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিষয়টি থানায় জানানো হয়। রাতেই পুলিশ দুই অভিযুক্তকে আটক করে প্রক্টরের কার্যালয় থেকে থানায় নিয়ে যায়।

পরদিন শুক্রবার (২১ জুন) কোতোয়ালি থানায় ওই ছাত্রী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলায় শান্ত ও স্বাগতর নাম স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকলেও অজ্ঞাতনামা আরও তিনজনকে আসামি করা হয়।

এদিকে, ঘটনাটি তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। কমিটির নেতৃত্বে আছেন প্রক্টর অধ্যাপক মো. মোখলেসুর রহমান। অন্য দুই সদস্য হলেন—সিভিল অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ড. মো. সাইফুল ইসলাম এবং ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টি টেকনোলজি বিভাগের বেলাল শিকদার। তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে এ ঘটনায় চাঞ্চল্য ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষার্থীদের অনেকে দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।