বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ফেনী: বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামির কেন্দ্রীয় নেতা ও আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শামীম সাঈদী বলেছেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের ব্যবসা ও বাড়ি ভারতে। তারাই আসল ভারতীয় রাজাকার। জামায়াতে ইসলামির কোনো নেতার সঙ্গে পাকিস্তান বা ভারতের কোনো সম্পর্ক নেই— নেই কোনো ব্যবসা বা সম্পদও।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলা ও পৌর জামায়াতের উদ্যোগে উপজেলা অডিটোরিয়ামে আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শামীম সাঈদী বলেন, “বাংলাদেশের আকাশ থেকে কালো মেঘ সরে গেছে, হতাশা কেটে গেছে। এ দেশে আর চাঁদাবাজ, দুর্নীতিবাজ কাউকে ক্ষমতায় আসতে দেয়া হবে না।” তিনি দাবি করেন, “ফ্যাসিস্টরা ভারতে পালিয়ে যেতে পারে, কিন্তু জামায়াতের নেতারা পালায় না, তারা ফাঁসির মঞ্চে গিয়েও সত্যের পক্ষে থেকেছেন।”
তিনি আরও বলেন, “আগামী নির্বাচন হচ্ছে ভারতীয় আগ্রাসন থেকে মুক্তির লড়াই, ইসলামকে রক্ষা করার লড়াই এবং স্বাধীনতা রক্ষার লড়াই। দেশের মানুষ এখন চায় একটি কল্যাণমুখী, ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা হোক। তাই পাড়া-মহল্লায় দাঁড়িপাল্লার গণজোয়ার তুলতে হবে।”
আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে শামীম সাঈদী বলেন, “তারা গত ১৬ বছর ধরে ২৮ লাখ কোটি টাকা লুট করেছে। তরুণ প্রজন্মকে মাদক ধরিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রেখেছিল। কিন্তু এখন যুবকরা জেগে উঠেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে আলোর কিরণ ছড়িয়ে পড়ছে, তা গোটা বাংলাদেশে ইসলামের পতাকা উত্তোলনের বার্তা দিচ্ছে।”
দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে শামীম সাঈদী বলেন, “আমার পিতা আল্লামা সাঈদীকে সারা দেশের মানুষ ভালোবাসতেন কুরআনের কারণে। কুরআনের দাওয়াত প্রচারের কারণেই তাঁকে ১৩ বছর কারাবন্দি রেখে হত্যা করা হয়েছে। সেই হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার সময় এখন।”
তিনি আসন্ন জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামির মনোনীত প্রার্থীদের দাঁড়িপাল্লা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।
ছাগলনাইয়া উপজেলা জামায়াতের আমির কেএম আজাদ হোসেনের সভাপতিত্বে এবং পৌর জামায়াতের আমির মুফতি আবদুল হান্নানের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন— ফেনী-১ আসনের জামায়াত প্রার্থী অ্যাডভোকেট এসএম কামাল উদ্দিন, জেলা জামায়াতের আমির মুফতি আবদুল হান্নান, নায়েবে আমির অধ্যাপক আবু ইউসুফ, উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মুজিবুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ ইলিয়াস, পৌর মেয়র প্রার্থী পেয়ার আহাম্মদ মজুমদার এবং উপজেলা সেক্রেটারি মোহাম্মদ জাফর আহাম্মদ মোল্লা।









