বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক: হংকং আন্তর্জাতিক কনভেনশন কার্যকর হওয়ার পর বৈশ্বিক জাহাজরিসাইক্লিং শিল্পে নতুন পরিবর্তনের সূচনা হয়েছে। আন্তর্জাতিক শিপমালিকরা এখন এমন কেন্দ্র খুঁজছেন যেখানে নিরাপদ, টেকসই এবং পরিবেশবান্ধব পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ নিশ্চিত করা যায়। ফলে বিশ্বের শিপব্রেকিং হাবগুলোর গুরুত্ব ও জনপ্রিয়তা নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে।
শিপমালিকদের পছন্দ
শিপমালিকরা প্রধানত তুরস্ক, চীন, ভারতের আলাং এবং বাংলাদেশের চট্টগ্রামকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। এই কেন্দ্রগুলোতে আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, শ্রমিক সুরক্ষা এবং পরিবেশ সুরক্ষা নিশ্চিত করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, “ভবিষ্যতের বাজারে টিকে থাকতে হলে মানদণ্ড মেনে চলা অপরিহার্য।”
টেকসই ও পরিবেশবান্ধব রিসাইক্লিং
নতুন নিয়মের ফলে ক্ষতিকর পদার্থ, তেল, অ্যাসবেস্টস এবং অন্যান্য বর্জ্য আলাদা করে নিরাপদে নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। আধুনিক যন্ত্রপাতি ও প্রশিক্ষিত শ্রমিক ব্যবহার করে পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ কার্যক্রম আরও টেকসই করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যারা পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি গ্রহণ করবে, তারা দীর্ঘমেয়াদে বাজারে বেশি স্থায়ী হবে।
দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিযোগিতা
দক্ষিণ এশিয়ার দেশ বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান- যদিও সস্তা শ্রম সুবিধা প্রদান করে, তবে আন্তর্জাতিক শিপমালিকরা এখন নিরাপত্তা ও পরিবেশকে প্রধান ভিত্তি হিসেবে দেখছেন। তাই এই দেশগুলোর জন্য প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করাই এখন টিকে থাকার মূল চাবিকাঠি।
আন্তর্জাতিক সংস্থা ও শ্রমিক সংগঠন
শিপমালিক সংস্থা, পরিবেশবাদী সংস্থা এবং শ্রমিক সংগঠনগুলো মিলিতভাবে মানদণ্ড নির্ধারণে সহায়তা করছে। তারা নিয়মিত মনিটরিং, প্রশিক্ষণ ও নিরাপত্তা নির্দেশিকা জারি করছে। এর ফলে শ্রমিকদের স্বাস্থ্যঝুঁকি কমছে এবং পরিবেশগত প্রভাব নিয়ন্ত্রণে আসছে।
বিশ্বের জাহাজরিসাইক্লিং শিল্প এখন টেকসই ও নিরাপদ প্রক্রিয়ায় রূপান্তরিত হচ্ছে। যারা মানদণ্ড মেনে চলবে, তারা আন্তর্জাতিক বাজারে টিকে থাকবে এবং দীর্ঘমেয়াদে লাভবান হবে। দক্ষিণ এশিয়ার কেন্দ্রগুলোও যদি আধুনিকায়ন ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে পারে, তবে তারা বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় নিজের অবস্থান ধরে রাখতে পারবে।