পলায়ন ও অস্ত্র লুকাতে সহায়তা করেন বাবা-মা
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন মামলার প্রধান আসামি ‘শুটার ফয়সালের’ বাবা-মা। ছেলের সব অপকর্মের কথা তারা জানতেন এবং ঘটনার পর তাকে পালাতে ও অস্ত্র লুকাতে সরাসরি সহায়তা করেছেন বলে আদালতে স্বীকার করেছেন।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুল ইসলামের আদালতে ফয়সালের বাবা হুমায়ুন কবির ও মা হাসি বেগম ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দি শেষে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
অস্ত্র লুকানো ও পলায়নে সহায়তা
জবানবন্দিতে ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান ওরফে শুটার ফয়সালের বাবা-মা জানান, ঘটনার দিন হাদিকে গুলি করার পর ফয়সাল শেরেবাংলা নগরে তার বোনের বাসায় যায়। ওই বাসায় তখন তার বাবা-মা ও বোন উপস্থিত ছিলেন। সেখানে পৌঁছে ফয়সাল তিনটি আগ্নেয়াস্ত্র তার বাবার কাছে জমা দেয় এবং মোটরসাইকেলের নম্বর প্লেট পরিবর্তন করে ফেলে।
পরবর্তীতে ফয়সালের বাবাই সব ব্যবস্থা করে তাকে বাসা থেকে বের করে দেন এবং সিএনজিচালিত অটোরিকশায় তুলে দেন। বাসা থেকে বের হওয়ার সময় ফয়সাল জানিয়েছিল যে, সে দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছে।
পরিকল্পনা ও রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা
বাবা-মায়ের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, ফয়সাল ঘটনার দিন সকাল থেকে মোবাইল ফোন ব্যবহার বন্ধ রেখেছিল এবং আগের রাতেই হাদির কর্মসূচির বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করেছিল।
জবানবন্দিতে তারা আরও উল্লেখ করেন, ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময় থেকেই ফয়সাল রাজনীতিতে জড়ায় এবং পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের উচ্চপর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলে। মাদক সেবনসহ নানা অপরাধে জড়িত ফয়সাল তিনটি বিয়ে করেছে। যদিও তার বাবা-মা দাবি করেন, ফয়সাল সাধারণত তাদের সঙ্গে থাকত না, তবে তার অপরাধ জগত সম্পর্কে তারা ওয়াকিবহাল ছিলেন।
এ ধরণের আরও গুরুত্বপূর্ণ আপডেট পেতে ভিজিট করুন www.businesstoday24.com










