বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: দেশের শেয়ারবাজারে টানা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে। গতকাল মঙ্গলবারও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)-এর লেনদেনে ছিল উজ্জ্বলতা। বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে, সূচকও উঠে এসেছে নতুন উচ্চতায়। তবে লেনদেনের পরিমাণে কিছুটা হ্রাস লক্ষ্য করা গেছে, যা বাজার বিশ্লেষকদের মতে এক ধরনের সতর্কবার্তা।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ডিএসইতে দিনশেষে দর বেড়েছে ১৭৩ কোম্পানির, কমেছে ১৫১টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৬৯টির দর। এতে প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ২৭০ পয়েন্টে, যা আগের দিনের তুলনায় ৫০ পয়েন্ট বেশি। ডিএসই শরিয়াহ সূচক বেড়েছে ১৪ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক বেড়েছে ৩৩ পয়েন্ট।
এই প্রবৃদ্ধি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থার পরিবেশ তৈরি করলেও লেনদেনের পরিমাণে ভাটা পড়েছে। আগের কার্যদিবসের ৮৬০ কোটি ৭০ লাখ টাকার তুলনায় গতকাল লেনদেন হয়েছে ৭২২ কোটি ২৯ লাখ টাকার, অর্থাৎ প্রায় ১৩৮ কোটি টাকার হ্রাস। এই পরিস্থিতিকে বাজার সংশ্লিষ্টরা ব্যাখ্যা করছেন লাভ তুলে নেওয়ার প্রবণতা কিংবা সতর্ক বিনিয়োগের ইঙ্গিত হিসেবে।
বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টিনন্দন পারফরম্যান্স দেখিয়েছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন। কোম্পানিটির ২৯ কোটি টাকার বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা ছিল দিনের সর্বোচ্চ। দ্বিতীয় স্থানে ছিল সিটি ব্যাংক এবং তৃতীয় স্থানে ওরিয়ন ইনফিউশন। এছাড়া শীর্ষ ১০ কোম্পানির তালিকায় আরও রয়েছে খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ, এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো, ব্র্যাক ব্যাংক, বেক্সিমকো ফার্মা, ইস্টার্ন ব্যাংক ও সি পার্ল বিচ রিসোর্ট।
অন্যদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) বাজার ছিল ইতিবাচক। সার্বিক সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৮১ পয়েন্ট। এদিন বাজারটিতে ৮৯ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে, ১০৪টির কমেছে এবং ৩৯টির ছিল স্থির।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, টানা সূচক বৃদ্ধিতে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বাড়ছে ঠিকই, তবে লেনদেনের পরিমাণ কমে যাওয়ার মধ্যে ভবিষ্যতের জন্য কিছু সতর্কবার্তা রয়েছে। বাজারে অস্থিরতা কমাতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ও কোম্পানিগুলোর আর্থিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার ওপর জোর দিচ্ছেন তারা।
🧐 বাজারে ওঠাপড়ার মাঝে সতর্ক থাকুন। শেয়ার করুন আপনার দৃষ্টিভঙ্গি।