বিনোদন ডেস্ক: বলিউডের ঝলমলে আলোয় আজ তিনি প্রথম সারির অভিনেত্রী। কোটি ভক্তের হৃদয়ের রানী শ্রদ্ধা কপূর। কিন্তু তারকা হয়ে ওঠার এই দীর্ঘ পথচলায় তাঁর জীবনে আছে অজানা অনেক গল্প—যেখানে অভিনয়ের আভা নয়, বরং কফি বানানো আর স্যান্ডউইচ তৈরিই ছিল হাতখরচ চালানোর ভরসা।
বিদেশে পড়াশোনা, হাতে কফি মেশিন
অল্প বয়সে সিনেমায় অভিষেকের প্রচলিত ধারা অনুসরণ করেননি শ্রদ্ধা। বরং নিজের উচ্চশিক্ষাকে অগ্রাধিকার দেন। ভর্তি হন বস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু বিদেশে পড়াশোনার খরচ সামলাতে নিজের হাতে উপার্জনের পথ বেছে নিতে হয়েছিল তাঁকে। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন একটি কফি প্রস্তুতকারক সংস্থায় ওয়েটারের কাজ নেন শ্রদ্ধা। প্রতিদিন কফি বানানো থেকে শুরু করে স্যান্ডউইচ তৈরি—সবই করতে হত তাঁকে।
কফির জন্য ক্ষমা, স্যান্ডউইচে আত্মবিশ্বাস
সম্প্রতি সেই দিনগুলির কথা স্মরণ করে শ্রদ্ধা হাসতে হাসতে বলেন, “২০০৫ সালে বস্টনে যাঁদের জন্য কফি বানিয়েছিলাম, তাঁদের কাছে আমি ক্ষমা চাইছি। কফি বানাতে সত্যিই ভালো ছিলাম না। তবে স্যান্ডউইচ বানানোতে বেশ দক্ষ হয়ে উঠেছিলাম।”
প্রোফাইলে অতীতের ঝলক
চাকরি খোঁজার একটি অ্যাপে নিজের প্রোফাইল হালনাগাদ করতে গিয়ে অভিনেত্রী ও উদ্যোগপতির পাশাপাশি জীবিকার এই পুরনো অধ্যায়ও যোগ করেছেন শ্রদ্ধা। তাঁর ভাষায়, একসময় কফি ও স্যান্ডউইচ বানানো থেকেই চলত হাতখরচ।
আজকের শ্রদ্ধা
প্রায় ১৩ বছরের অবিরাম পরিশ্রমে বলিউডে নিজের পায়ের তলার মাটি শক্ত করেছেন তিনি। একের পর এক হিট ছবির মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন প্রথম সারির নায়িকা হিসেবে। কিন্তু জীবনের শুরুতে সংগ্রামের যে স্বাদ তিনি পেয়েছেন, সেটিই আজ তাঁকে আরও বাস্তব, আরও অনুপ্রেরণাদায়ী করে তুলেছে।
⭐ শ্রদ্ধা কপূরের এই গল্প প্রমাণ করে, তারকা হওয়ার পথে কখনও কফি মেশিনের শব্দও বাজতে পারে, আর সাফল্যের স্যান্ডউইচ গড়তে হয় ছোট ছোট অভিজ্ঞতার স্তর দিয়ে।