আন্তর্জাতিক ডেস্ক: থাইল্যান্ডের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় নগরী নাখন রাচাসিমায় একটি সুপারমার্কেটে ঢুকে পড়ল এক চার টন ওজনের হাতি। ক্ষুধার্ত এই ২৫ বছর বয়সী হাতিটি খাবারের সন্ধানে বাজার ঘুরে ঘুরে রাইস কেক ও মুরগির ডিম খেতে শুরু করল। তবে খাবার খেতে গিয়ে বাজারের ছাদের নিচে আটকে পড়ে সৃষ্টি করে বিপত্তি।
স্থানীয় দোকানদার খামপ্লয় গাকাও বলেন, “ প্রথমবারের মতো এমন ঘটনা ঘটল। হাতি দুমড়ে মুচড়ে ব্যাপক ক্ষতি করবে এমন আশঙ্কায় ছিলা। তবে, হাতিটি মিষ্টি এবং খাস্তা রাইস কেক এবং মুরগির ডিম খেয়েছে। হাতিরা সাধারণত লবণাক্ত খাবার খোঁজে, এটা অদ্ভুত লেগেছে আমার কাছে ।”
হাতিটি বাজারে প্রায় ১০ মিনিট কাটিয়ে খাবার খেয়েছে। তারপর ছাদের নিচে আটকা পড়ে যায়। পরে দোকানদার সেটিকে ধাপে ধাপে রাস্তায় ফিরিয়ে দিতে সক্ষম হন।
অবিশ্বাস্য হলেও, হাতিটি মাত্র ১,০০০ বাথ ক্ষতি করেছে। সংবাদ পেয়ে পরবর্তীতে বন্যপ্রাণ রেঞ্জাররা ঘটনাস্থলে পৌঁছে হাতিটিকে উদ্ধার করে বনের দিকে ফিরিয়ে নিয়ে যান এবং এলাকায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে যাতে আবার এ ধরনের ঘটনা না ঘটে।
বিশ্ব বন্যপ্রাণ সংস্থা জানিয়েছে, হাতিদের দৈনিক প্রায় ১৫০ কেজি খাবার দরকার, যা প্রায় ৩৭৫ টিন বেকড বিনের সমান। তবে থাইল্যান্ডের প্রায় ৩,৫০০ বন্য হাতি মানুষের খাবারের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে ঘর-বাড়ি ও গাড়ি থেকে খাবার খোঁজে, যা তাদের প্রাকৃতিক খাদ্যের বিকল্প হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
এই ধরনের ঘটনা শুধুমাত্র থাইল্যান্ডেই নয়, ভারতসহ অন্যান্য দেশে ও ঘটেছে। যেমন, ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের কোইম্বাটুরে একটি হাতি ও তার বাচ্চা একটি রেশন দোকানে ঢুকে চাল, ডাল, গম ও চিনি চুরি করে। তারা দোকানের শাটার ভেঙে এসব খাদ্যসামগ্রী বের করে নিয়ে যায়।
এছাড়া, ভারতের ঝাড়খণ্ডের চাকুলিয়া এলাকায় একটি হাতি খাদ্যগুদামে ঢুকে চালের বস্তা চুরি করে। এটি স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে।
এই ধরনের ঘটনা বন্যপ্রাণী ও মানুষের মধ্যে সংঘর্ষের একটি উদাহরণ, যা তাদের খাদ্য অনুসন্ধানের জন্য মানুষের বসতিতে প্রবেশের ফলে ঘটে থাকে। এটি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও মানুষের নিরাপত্তার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
📢 আপনিও কি এমন সন্ত্রাসী হাতির ঘটনা আগে শুনেছেন?
হাতির বাজার অভিযানের এমন কাণ্ড শুনে অবাক না হয়ে পারা যায়? 🤯
🐘 যদি ঘটনাটি আপনার মনে দাগ কাটে, তবে…
❤️ লাইক দিন
🔁 শেয়ার করুন
💬 কমেন্টে জানান, আপনার এলাকায় এমন কিছু ঘটলে আপনি কী করতেন?
