Home First Lead সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদা দাবি, গুলশানে ধরা খেল হাতেনাতে ৫জন

সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদা দাবি, গুলশানে ধরা খেল হাতেনাতে ৫জন

সংগৃহীত ছবি
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: রাজধানীর গুলশানে সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে সমন্বয়ক পরিচয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে পাঁচ যুবককে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছেন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক এবং ঢাকা মহানগর শাখার নেতা-কর্মীরাও।

শনিবার (২৬ জুলাই) সন্ধ্যার পর গুলশান ৮৩ নম্বর রোডের ওই বাড়িতে দ্বিতীয় দফায় চাঁদাবাজির চেষ্টা চালাতে গেলে হাতেনাতে ধরা পড়েন তারা। এর আগে ১৭ জুলাই একই বাড়িতে গিয়ে প্রথম দফায় চাঁদা দাবি করেন এবং ১০ লাখ টাকা নিয়ে আসেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে নেতৃত্বে ছিলেন আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ (২৫)। অন্যরা হলেন ইব্রাহীম হোসেন মুন্না (২৪), মো. সাকাদাউন সিয়াম (২২), সাদমান সাদাব (২১) ও মো. আমিনুল ইসলাম (১৩)। তারা সবাই নিজেদের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের পরিচয় দিয়ে একাধিকবার সাবেক এমপির পরিবারের কাছে চাঁদা দাবি করেন। শনিবার রাতে তারা স্বর্ণালঙ্কার আনতে এলে বাড়ির লোকজন পুলিশে খবর দেন এবং গুলশান থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকেই আটক করে।

গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান বলেন, “ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। আটক ব্যক্তিরা কোনো সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।”

ঘটনার পরপরই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সংগঠনের ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক ইব্রাহীম হোসেন মুন্না, সদস্য মো. সাকাদাউন সিয়াম এবং সাদমান সাদাবকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক শাহাদাত হোসেনের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শৃঙ্খলাপরিপন্থী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কারণে সভাপতি রিফাত রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক হাসান ইনামের অনুমোদনে তাদের সাংগঠনিক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের তাদের সঙ্গে কোনো প্রকার সাংগঠনিক যোগাযোগ না রাখার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

এদিকে পুলিশের ওপর প্রভাব খাটিয়ে আটক যুবকদের ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য নানা মহল থেকে তদবির শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে পুলিশ জানিয়েছে, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

ঘটনাটি সামনে আসার পর গুলশানসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। অনেকে বলছেন, ছাত্র রাজনীতির নামে এমন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে। ঘটনাটি কোনো বড় চক্রের অংশ কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সংশ্লিষ্ট মহল।

এই ধরনের প্রতিবেদন নিয়মিত পড়তে ভিজিট করুন businesstoday24.com