Home আন্তর্জাতিক চীনে দুর্নীতির দায়ে মৃত্যুদণ্ড, যাবতীয় সম্পদ বাজেয়াপ্ত

চীনে দুর্নীতির দায়ে মৃত্যুদণ্ড, যাবতীয় সম্পদ বাজেয়াপ্ত

ছবি সংগৃহীিত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের (Xizang Autonomous Region) সাবেক সরকার উপাধ্যক্ষ ওয়াং ইয়ং (Wang Yong) দুর্নীতির অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডের দুই বছরের স্থগিত সাজা পেয়েছেন। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় চীনের হুনান প্রদেশের এক আদালত তাকে ২৭১ মিলিয়ন ইউয়ান (প্রায় ৩৭.৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) মূল্যের ঘুষ গ্রহণের দোষে দণ্ডিত করে। একই সঙ্গে তার সমস্ত ব্যক্তিগত সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মৃত্যুদণ্ডের দুই বছরের স্থগিতের অর্থ:
এ ধরনের সাজার অর্থ হলো, মৃত্যুদণ্ড দেয়া হলেও তা তাত্ক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে না। বরং দুই বছর সময় দেওয়া হয় ওই আসামির আচরণ পর্যবেক্ষণের জন্য। যদি এই সময়ের মধ্যে সে ভালো আচরণ করে এবং নতুন কোনো অপরাধ না করে, তাহলে মৃত্যুদণ্ড কমে যেতে পারে বা বাতিল হয়ে জীবনের জন্য কারাদণ্ডে রূপান্তরিত হতে পারে। এটি এক ধরণের সময়সীমা ভিত্তিক ‘সুযোগ’ হিসেবে বিবেচিত হয়।

এই মামলার শুনানি চলাকালে আদালত ওয়াং ইয়ং এর বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণগুলো যথাযথ ভাবে তুলে ধরেন এবং তার উচ্চপদস্থ সরকারি দায়িত্বে থাকা অবস্থায় কোটি কোটি ইউয়ানের অবৈধ সুবিধা গ্রহণের বিষয়টি স্বীকার করেন। ওয়াং ইয়ংয়ের কর্মকাণ্ড তিব্বতের সরকারে দুর্নীতির বিরুদ্ধে চীনের কঠোর অবস্থানের একটি উদাহরণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

চীনের দুর্নীতি দমন অভিযানে গত কয়েক বছরে উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলা চলছে। এই ধরনের কঠোর শাস্তির মাধ্যমে দেশটির প্রশাসনিক শৃঙ্খলা শক্তিশালী করার পাশাপাশি জনগণের আস্থা ফিরে আনার চেষ্টা করছে সরকার।

তিব্বত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে বিবেচিত হয়। এই অঞ্চলে দুর্নীতির মাত্রা কমানোর জন্য চীন সরকার ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

এদিকে, ওয়াং ইয়ং এর বিরুদ্ধে এই সাজা চীনের ক্ষমতাসীন দল কমিউনিস্ট পার্টির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের দুর্নীতি প্রতিরোধে ‘শক্ত হাতে’ কার্যক্রম অব্যাহত রাখার প্রতিফলন বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।