বিনোদন ডেস্ক: এক সময় বিগবসের ঘরে নজর কেড়েছিলেন সানা খান। অভিনয় করেছিলেন সলমন খানের ছবিতেও। বলিউডের পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছিলেন ধীরে ধীরে। কিন্তু ২০২০ সালে মুফতি আনাস সায়েদকে বিয়ে করার পরই একদম বদলে গেল তাঁর জীবন। বিনোদন জগৎকে বিদায় জানালেন তিনি। পরিবর্তন আনলেন তাঁর পোশাক-পরিচ্ছদ এবং জীবনের ধারা।
এই বদলের কারণ নিয়ে সম্প্রতি মুখ খুলেছেন বলিউড অভিনেত্রী জরিন খান।
জরিন বলেন, সানাকে খুব ঘনিষ্ঠভাবে চিনি না ঠিকই, তবে এটুকু জানি তিনি বিয়ের আগেও ধর্মচর্চায় মনোযোগী ছিলেন। তাঁর এই আধ্যাত্মিকতার যাত্রা নতুন নয়। বিয়ের পরে তিনি যে পুরোপুরি ধর্মের পথে এগিয়েছেন, সেটি তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।
সানার বিয়ে এবং তারপর রুপালি পর্দা থেকে বিদায় নেওয়া নিয়ে বহুবার প্রশ্ন উঠেছে, মুফতি আনাস কি তাঁর ওপর ধর্মীয় মতাদর্শ চাপিয়ে দিয়েছেন? এই প্রসঙ্গে জরিন বলেন, মানুষ ভাবে সিনেমার সঙ্গে যুক্ত মেয়েরা যেন ধার্মিক হতে পারেন না। এটা খুব ভুল ধারণা। আমরা রোজ কী করি, কীভাবে প্রার্থনা করি, তা সবাই জানে না।
তিনি আরও বলেন, ধর্মীয় বিশ্বাস একান্তই ব্যক্তিগত বিষয়। এটা আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি এক সম্পর্ক। এর জন্য আলাদা করে লোক দেখানো দরকার পড়ে না। সানা সবসময়ই ভক্তি করতেন। এখন তিনি আরও গভীরভাবে ধর্মের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। এটা তাঁর জীবন, তাঁর সিদ্ধান্ত। আমি ব্যক্তিগতভাবে তাঁকে নিয়ে খুশি।
সানা খান বর্তমানে সম্পূর্ণরূপে বিনোদন জগৎ ছেড়ে ধর্মীয় জীবন বেছে নিয়েছেন। তাঁর এই পরিবর্তন নিয়ে নানা মন্তব্য শোনা গেলেও জরিন খানের মতো অনেকেই এই সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধার চোখে দেখছেন।