Home জাতীয় সানেম জরিপ: তরুণদের পছন্দে এগিয়ে বিএনপি

সানেম জরিপ: তরুণদের পছন্দে এগিয়ে বিএনপি

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: তরুণদের দৃষ্টিতে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি সবচেয়ে বেশি ভোট পেতে পারে—এমন অভিমত উঠে এসেছে দক্ষিণ এশীয় গবেষণা সংস্থা সানেম এবং অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের এক যৌথ জরিপে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ৩৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ তরুণ মনে করেন বিএনপি আগামী নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ভোট পাবে। তবে জামাতে ইসলামী ও ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি ( এনসিটি) একত্রে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।

এই জরিপে দেশের আট বিভাগ থেকে নির্বাচিত ১৬টি জেলার ২ হাজার তরুণ-তরুণীর অংশগ্রহণে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। ১৫ থেকে ৩৫ বছর বয়সী অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে উঠে আসে তাদের রাজনৈতিক পছন্দ, ভোটদানে আগ্রহ এবং বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতা নিয়ে ভাবনার বিষয়গুলো।

জরিপ অনুযায়ী,জামাতে ইসলামী ২১ দশমিক ৪৫ শতাংশ ভোট পেতে পারে বলে মনে করেন অংশগ্রহণকারীরা। এছাড়াি এনসিটি পাবে ১৫ দশমিক ৮৪ শতাংশ। অন্যদিকে, আওয়ামী লীগের পক্ষে মত দিয়েছেন প্রায় ১৫ শতাংশ তরুণ।

গ্রাম ও শহরভেদে রাজনৈতিক পছন্দে তেমন বড় পার্থক্য দেখা যায়নি। শহরের তরুণদের মধ্যে বিএনপি পেতে পারে ৩৯ দশমিক ৭৭ শতাংশ ভোট, গ্রামাঞ্চলে তা সামান্য কম, ৩৭ দশমিক ৭২ শতাংশ। জামাত শহরে ২১ দশমিক ৬৬ শতাংশ এবং গ্রামে ২১ দশমিক ২৫ শতাংশ ভোট পাবে বলে ধারণা করা হয়েছে।

তবে রাজনৈতিক অনীহা ও হতাশার চিত্রও স্পষ্ট। ৮২ দশমিক ৭ শতাংশ তরুণ রাজনীতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন। অনেকে মনে করেন, অংশগ্রহণ করলেও বাস্তব ফলাফলে প্রভাব ফেলতে পারবেন না। তা সত্ত্বেও ৭৬ দশমিক ৮ শতাংশ তরুণ জানিয়েছেন, তাঁরা আগামী নির্বাচনে ভোট দেবেন।

জরিপে সামাজিক ও আইনি নিরাপত্তা নিয়েও তরুণদের উদ্বেগ প্রকাশ পেয়েছে। অংশগ্রহণকারীদের ৭১ দশমিক ৫ শতাংশ মনে করেন, বিচারবহির্ভূত ‘মোব জাস্টিস’ এখন সাধারণ মানুষের জীবনে নিয়মিত হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান বলেন, “তরুণরা শুধু রাজনৈতিক নয়, সামাজিক ন্যায়ের বিষয়েও সচেতন। তারা আগামীর পরিবর্তনের শক্তি হতে চায়, কিন্তু দুর্বল নেতৃত্ব ও আস্থাহীনতা বড় বাধা হয়ে আছে।”

এই জরিপের ফলাফল থেকে স্পষ্ট, তরুণ সমাজের একটি বড় অংশ প্রথাগত দলগুলোর বাইরে নতুন বিকল্পের দিকে ঝুঁকছে। জামাতে ইসলামী ও ন্যাশনাল সিটিজেন পার্টি ( এনসিটি) এই মুহূর্তে বিএনপির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আবির্ভূত হলেও, সামগ্রিকভাবে তরুণদের ভোট অভিমুখ এখনো পরিবর্তনশীল।