বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক: ভারতের দক্ষিণী অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভুকে প্রায় সকলেই চেনেন। সামান্থা দক্ষিণী চলচ্চিত্র জগতের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী। তিনি তাঁর কর্মজীবনে অনেক হিট ছবি উপহার দিয়েছেন। পেশাগত জীবনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও সামান্থা বেশ আলোচনায় থাকেন।
দীর্ঘ দিন প্রেমের পরে বিয়ে হয়েছিল সামান্থা রুথ প্রভু ও নাগ চৈতন্যের। তবে সেই বিয়ে স্থায়ী হয়নি। শোনা যায়, শোভিতা ধুলিপালার সঙ্গে নাগ চৈতন্যের ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকায় বিচ্ছেদ হয়েছিল তাঁদের। স্বামী বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়াচ্ছেন কি না, এই বিষয়ে কখনও জানার চেষ্টা করেননি সামান্থা? নাগের চলাফেরায় কখনও নজরদারি করেননি তিনি? সম্প্রতি এই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় অভিনেত্রীকে।
সৌন্দর্যের নিরিখে নায়কদের নম্বর নিতে বলা হয়েছিল সামান্থাকে এক সাক্ষাৎকারে । দক্ষিণী তারকা মহেশ বাবুকে ১০-এর মধ্যে ১০ দিয়েছিলেন সামান্থা। এক কথায় অভিনেত্রী বলেছিলেন, “এ নিয়ে আমাকে দু’বার ভাবতে হবে না।” তার পর ওঠে হৃতিকের প্রসঙ্গ। অভিনেত্রী উত্তর দেন, “সবাই আমাকে মেরে ফেলবে, এটা বললে। আমার হৃতিককে তেমন ভাল লাগে না। একটু বেশিই বাড়াবাড়ি লাগে। ওকে আমি ১০ এর মধ্যে ৭ দিতে পারি।”
নাগ চৈতন্য অর্থাৎ প্রাক্তন স্বামীকে নিয়ে প্রশ্ন করার সঙ্গে সঙ্গেই সামান্থা বলেন, “অবশ্যই ১০ এর মধ্যে ১০ দেব।” রণবীর কপূরকে অভিনেত্রী দিয়েছিলেন ১০ এর মধ্যে ৮ নম্বর। এর পরেই শাহিদ কপূরের বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় তাঁকে। অভিনেত্রী বলেন, “‘কামিনে’ ছবির আগের শাহিদকে দেব ১০ এর মধ্যে ৪। তবে ওই ছবির পরে ওকে দেব ১০ এর মধ্যে ৯ নম্বর।”
‘সিটাডেল: হানি বানি’ ওয়েব সিরিজ়ে এক গুপ্তচরের চরিত্রে অভিনয় করেছেন সামান্থা। কিন্তু বাস্তবে আড়ি পাতা বা কারও উপর নজরদারি, এ সব কিছুই করেননি তিনি। তবে এক পুরনো সাক্ষাৎকারে আক্ষেপ করে সামান্থা জানিয়েছিলেন, একজনের উপরে তাঁর নজরদারি চালানো উচিত ছিল। সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছিল নেটপা়ড়ায়। প্রশ্ন উঠেছিল, সামান্থা কি নাগ চৈতন্যের কথা বলছেন?
সামান্থা সেই সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “গুপ্তচরের কোনও গুণাগুণ আমার মধ্যে নেই। তবে থাকলে ভাল হত। একজনের উপরে আমি নজরদারি করতাম।” হাসতে হাসতেই এই মন্তব্য করেছিলেন অভিনেত্রী। এই মন্তব্য ছড়িয়ে পড়তেই সামান্থার এক অনুরাগী লিখেছিলেন, “আমি নিশ্চিত। সামান্থা সম্পর্কে প্রতারিত হয়েছেন। তবে সেই কথা তিনি প্রকাশ্যে বলবেন না।”