বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, রাজশাহী: বাগমারা উপজেলায় অবৈধভাবে মজুত করা ৪৪৪ বস্তা সার জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার ৪ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার দানগাছি গ্রামে স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতার বাড়িতে পুলিশ ও কৃষি বিভাগের যৌথ অভিযানে এসব সার উদ্ধার করা হয়। অভিযান শেষে বাড়িটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। তবে অভিযুক্ত নেতা ওয়ারেস আলী পালিয়ে যান।
অভিযুক্ত ওয়ারেস আলী (৩৫) ভবানীগঞ্জ পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি এবং দানগাছি গ্রামের আমজাদ হোসেনের ছেলে। এলাকায় তিনি ‘মুরগী বাবু’ নামে পরিচিত এবং মুরগির ব্যবসাসহ সার বিক্রির সঙ্গেও জড়িত।
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা পড়ে যে ওয়ারেস আলী নিজ বাড়িতে বিপুল পরিমাণ সার মজুত রেখেছেন। পরে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে তার বাড়ি থেকে ২০০ বস্তা টিএসপি, ২০০ বস্তা ডিএপি এবং ৪৪ বস্তা এমওপি সার জব্দ করা হয়। প্রশাসনের প্রাথমিক ধারণা, এসব সার কালোবাজারে অধিক দামে বিক্রি করার উদ্দেশ্যেই মজুত করা হয়েছিল।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক বলেন, ওয়ারেস আলী একজন নিবন্ধিত খুচরা সার বিক্রেতা। নিয়ম অনুযায়ী তিনি ডিলারদের কাছ থেকে সার সংগ্রহ করে নির্ধারিত দোকানে বিক্রি করতে পারেন। কিন্তু নিজ বাড়িতে এত পরিমাণ সার মজুত রাখা সম্পূর্ণ অননুমোদিত এবং নীতিমালা বহির্ভূত।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, সমন্বিত সার নীতিমালা অনুযায়ী অনুমোদিত ডিলার পয়েন্ট বা দোকানের বাইরে কোনো অবস্থায় সার মজুত রাখার সুযোগ নেই। বাড়িতে সার মজুত করে আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে এবং এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এদিকে আত্মগোপনে থাকা ওয়ারেস আলী দাবি করেছেন, উদ্ধার করা সারগুলো বৈধ এবং তার কাছে ক্রয়ের সকল কাগজপত্র রয়েছে। ভবানীগঞ্জ বাজারে তার দোকানে জায়গার সংকুলান না হওয়ায় তিনি বাধ্য হয়ে বাড়িতে সার রেখেছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুবুল ইসলাম বলেন, কৃষকদের ন্যায্য মূল্যে সার প্রাপ্তি নিশ্চিত করা প্রশাসনের অগ্রাধিকার। বাড়িতে অবৈধভাবে সার মজুতের বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হবে এবং প্রয়োজনে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।










