সিলেট চেম্বারের নির্বাচন স্থগিত: উচ্চ আদালতের আদেশের অপেক্ষায় কর্তৃপক্ষ

উল্লেখ্য, একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ গত বুধবার সিলেট চেম্বার নির্বাচনের স্থগিতাদেশ খারিজ করে দেন। রিটকারী সিলেট চেম্বার নির্বাচনের সভাপতি প্রার্থী ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ বুধবার এই তথ্য জানান। হাইকোর্টের এই আদেশের পর বুধবার রাতে সংবাদ সম্মেলন করে ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদের নেতৃত্বাধীন সিলেট সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ ১লা নভেম্বরই নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানায়।

তবে, বৃহস্পতিবার চেম্বারের প্রশাসক সাঈদা পারভীন বলেন, “নির্বাচনের স্থগিতাদেশ খারিজ হয়েছে এটা আমরা জেনেছি, তবে হাইকোর্টের অফিসিয়াল আদেশের চিঠিটি আমরা এখনো হাতে পাইনি। যদি আদেশের কপিটা আমাদের কাছে চলে আসে তখন আমরা নির্বাচনের কার্যক্রম নিয়ে এগিয়ে যেতে পারব। এখন পর্যন্ত এমন কিছু আমাদের কাছে আসেনি।”

তিনি আরও বলেন, “সময় হাতে আছে মাত্র দুই দিন; এই দুই দিনে বৃহৎ একটি ব্যবসায়ী সংগঠনের নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব নয়।” তবে, আদেশের কপি হাতে পেলেই দ্রুত পরবর্তী নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।

একই কথা বলেছেন নির্বাচন পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মাসুদ রানা। তিনি জানান, তাঁরাও এখনো হাইকোর্টের আদেশের কপি পাননি। এটি প্রথমে সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের প্রশাসকের কাছে আসবে, তারপর তাঁরা পাবেন। সেজন্য এখনো নতুন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি এবং তাঁরা চিঠির অপেক্ষায় রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, আগামী ১লা নভেম্বর সিলেট চেম্বারের ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা ছিল। ইতোমধ্যে তফসিল ঘোষণা, মনোনয়ন যাচাইসহ নির্বাচনের প্রায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছিল। নির্বাচনে দুটি প্যানেল—সিলেট সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ ও সিলেট ব্যবসায়ী ফোরাম থেকে মোট ৪২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন। গত রোববার (২৬ অক্টোবর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাণিজ্য সংগঠন–১ শাখার উপসচিব চৌধুরী সামিয়া ইয়াসমিন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে নির্বাচন স্থগিতের বিষয়টি সিলেট চেম্বারের নির্বাচন বোর্ডকে জানানো হয়। পরবর্তীতে চেম্বার নির্বাচনের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী প্যানেল সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ ও ব্যবসায়ী ফোরাম হাইকোর্টে নির্বাচনের স্থগিতাদেশ নিয়ে রিট করলে আদালত স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নির্বাচন আয়োজন করার অনুমতি দেন। তবে, আনুষ্ঠানিক আদেশ না পাওয়ায় আপাতত নির্বাচন স্থগিত থাকছে।