Home Third Lead কাস্টমস লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়ন সংকটের অবসান: বাতিল পুরোনো নির্দেশনা

কাস্টমস লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়ন সংকটের অবসান: বাতিল পুরোনো নির্দেশনা

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: দীর্ঘ এক মাসের বেশি সময় ধরে চলা জটিলতা ও অনিশ্চয়তার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে কাস্টমস লাইসেন্স ইস্যু এবং নবায়ন সংক্রান্ত পূর্বের নির্দেশনা বাতিল করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এর ফলে নতুন করে কার্যক্রম চালু হচ্ছে শিপিং এজেন্টস লাইসেন্স এবং কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং (সি অ্যান্ড এফ) লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়নের ক্ষেত্রে, যা নিয়ে গত দেড় মাস ধরে সব কাস্টমস কমিশনারেটে  অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, পূর্বের জটিল নির্দেশনা বাতিল করে সম্প্রতি নতুন একটি চিঠি ইস্যু করেছে এনবিআর। এনবিআরের দ্বিতীয় সচিব আসমা আক্তার স্বাক্ষরিত পত্রে কাস্টমস হাউসগুলোকে নতুন করে নির্দেশনা দেওয়া হয়। চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘কাস্টমস এজেন্ট লাইসেন্সিং বিধিমালা ২০২০’ অনুসারে লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়নের প্রক্রিয়া যথারীতি চলবে। এছাড়া নতুন শিপিং এজেন্টস লাইসেন্সিং বিধিমালার খসড়া প্রণয়ন শেষ না হওয়া পর্যন্ত পুরোনো নীতিমালার আলোকে নবায়ন প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

এর ফলে দেশের বিভিন্ন কাস্টমস হাউসে আটকে থাকা  আবেদনগুলো আবারও সচল হলো। এতে করে সেবা গ্রহণকারীদের যেমন স্বস্তি ফিরেছে, তেমনি সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোও পুনরায় কাজে ফিরছে।

চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনারেটের আওতায় বর্তমানে প্রায় ৬০০ শিপিং লাইসেন্স রয়েছে, যদিও এর মধ্যে সবগুলো সক্রিয় নয়। সংশ্লিষ্ট মহল অভিযোগ করেছে, অতীতে এসব লাইসেন্স কিছু ভেন্ডার বা জাহাজে কাঁচাবাজর সরবরাহকারীদের নামে ইস্যু করা হয়েছে, যারা প্রকৃত শিপিং এজেন্ট নয়। এইসব লাইসেন্সধারীদের অনেকে নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়ার পর গা-ঢাকা দেন। ফলে প্রকৃত শিপিং অপারেটররা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিলেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, শিপিং লাইসেন্স নবায়নের সময় এজেন্সিগুলোর আর্থিক বিবরণী, বাংলাদেশ ব্যাংকে দাখিল করা রেমিট্যান্স সংক্রান্ত হিসাব, এবং ভ্যাট-ট্যাক্স পরিশোধ সংক্রান্ত তথ্য সুনির্দিষ্টভাবে যাচাই করা হলে কেবল প্রকৃত ও কার্যকর শিপিং এজেন্টরাই পেশায় টিকে থাকবে।

সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের অনেকেই মনে করছেন, এনবিআরের এই পদক্ষেপ কেবল লাইসেন্সধারীদের সুশৃঙ্খল নয়, বরং বাণিজ্যিক স্বচ্ছতাও নিশ্চিত করবে। একাধিক প্রতিষ্ঠান আগে লাইসেন্স থাকলেও জবাবদিহির অভাবে নিয়ম বহির্ভূতভাবে ব্যবসা পরিচালনা করছিল। এখন নিয়মতান্ত্রিক যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে লাইসেন্সের মান ও নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, শিপিং ও সি অ্যান্ড এফ লাইসেন্স ব্যবস্থার পুনরায় সচলতা দেশের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমকে গতি দেবে এবং কাস্টমস সংশ্লিষ্ট খাতেও শৃঙ্খলা ফিরবে।