সালাউদ্দিনের পরিবর্তে চূড়ান্ত আসলাম চৌধুরী
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, সীতাকুণ্ড: চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড ও চট্টগ্রাম নগরের আংশিক) আসনে শেষ মুহূর্তে এসে প্রার্থী পরিবর্তন করেছে বিএনপি। এই আসনে দলটির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ আসলাম চৌধুরীকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে পূর্ব ঘোষিত প্রার্থী কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের স্থলাভিষিক্ত হলেন তিনি।
আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী ইউনিয়নের জলিল গেট এলাকায় নিজ বাসভবনে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে আসলাম চৌধুরী দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার চিঠিটি নেতা-কর্মীদের সামনে তুলে ধরেন। এ সময় তিনি দীর্ঘদিনের বিভেদ ভুলে আসন্ন নির্বাচনে ধানের শীষের পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
আসলাম চৌধুরী বলেন, “কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ধানের শীষের পক্ষে এতদিন জনমত গঠন করেছেন। তিনি দলের একজন পরীক্ষিত নেতা। তাকেসহ সবাইকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের ধানের শীষকে জয়ী করে আনতে হবে।”
এর আগে গত ৩ নভেম্বর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই আসনে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের নাম ঘোষণা করেছিলেন। সালাউদ্দিন ১৮ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্রও সংগ্রহ করেন।
তবে আজ বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে গণমাধ্যমকে জানান, সীতাকুণ্ড আসনে আগের প্রার্থী পরিবর্তন করে আসলাম চৌধুরীকেই চূড়ান্ত করা হয়েছে।
৩ নভেম্বর সালাউদ্দিনের নাম ঘোষণা হওয়ার পর সীতাকুণ্ডে আসলাম চৌধুরীর অনুসারীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন। তারা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করেন এবং রেলপথও আটকে দেন। সেই সময় বিশৃঙ্খলার অভিযোগে আসলাম চৌধুরীর বেশ কয়েকজন অনুসারীকে দল থেকে বহিষ্কারও করা হয়েছিল।
অন্যদিকে, সালাউদ্দিনের সমর্থকরা আনন্দ মিছিল বের করেছিলেন। এ নিয়ে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে স্থানীয় বিএনপিতে তীব্র অস্থিরতা ও দুই পক্ষের আলাদা কর্মসূচি লক্ষ্য করা গেছে।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি মো. মোরসালিন জানান, গত ২০ ডিসেম্বর ঢাকায় ৩০০ আসনের প্রার্থীদের নিয়ে বিএনপির প্রশিক্ষণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে আসলাম চৌধুরী অংশ নেন এবং ওই দিনই দল তাকে মৌখিকভাবে চূড়ান্ত করার বিষয়টি নিশ্চিত করে। পরবর্তীকালে তাকে আনুষ্ঠানিক চিঠি দেওয়া হয়।
মাঠের পরিস্থিতি এবং দলের অভ্যন্তরীণ ভারসাম্য বজায় রাখতেই হাইকমান্ড এই প্রার্থী পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।










