গত কয়েক বছরে ঢাকাসহ দেশের বড় শহরগুলোতে বিড়াল পালনের প্রবণতা হঠাৎ করে বেড়ে গেছে। এই প্রবণতা শুধু শখ নয়, বরং জীবনের এক নিঃশব্দ বিপ্লব। আগেকার দিনে যেখানে বিড়াল ছিল উঠোনের প্রাণী, এখন সে স্থান পেয়েছে এয়ারকন্ডিশনড ঘরের নরম সোফায়, কখনোবা বিছানার ঠিক মাঝখানে।
মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, কোভিড মহামারির পর থেকে মানুষের মধ্যে একাকিত্ব, মানসিক চাপ ও বিষণ্ণতা বেড়েছে। এসব থেকে মুক্তির খোঁজে অনেকে বেছে নিচ্ছেন পোষা প্রাণীর সাহচর্য। বিড়াল সেই তালিকার শীর্ষে। কারণ তার আচরণ যতটা আত্মকেন্দ্রিক, ততটাই নিঃশব্দে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিতে পারে মালিককে।
ঢাকার ধানমন্ডির বাসিন্দা রুহুল আমিন বলেন, ‘আমার ছেলে বিদেশে, মেয়ে ব্যস্ত নিজের সংসারে। আমি আর আমার স্ত্রী নিঃসঙ্গ বোধ করতাম। কিন্তু “রিমি” নামের একটা বিড়াল আমাদের ঘরের পরিবেশই বদলে দিয়েছে।’
বিড়াল এখন শুধু ব্যক্তিগত ভালোবাসার জায়গাতেই নয়, তৈরি হয়েছে গোটা একটি কমিউনিটি। ফেসবুকভিত্তিক গ্রুপ, পোষা প্রাণীর চিকিৎসাকেন্দ্র, ক্যাট ক্যাফে এমনকি বিড়ালের জন্য বিশেষায়িত খাবারের দোকানও গড়ে উঠেছে। অনেকে আবার রাস্তায় পরিত্যক্ত বিড়ালকে বাড়ি এনে লালন-পালন করছেন।
এই নীরব বিপ্লব শুধু আবেগ নয়, বরং সামাজিক পরিবর্তনেরও ইঙ্গিত বহন করে। যেখানে পরিবার বলতে কেবল রক্তের সম্পর্ক বোঝায় না, বোঝায় ভালোবাসা, যত্ন আর নির্ভরতার সংজ্ঞা।
আপনার ঘরেও কি আছে এমন কোনো নির্ভরতার সঙ্গী?
আপনার প্রিয় পোষ্য বিড়ালের গল্প কিংবা ছবি আমাদের কমেন্টে শেয়ার করুন।
বন্ধুদের সাথে প্রতিবেদনটি শেয়ার করুন—হয়তো কেউ তার নিঃসঙ্গতার পাশে খুঁজে পাবে একটুকরো উষ্ণতা।
📢 আপনার মতামত আমাদের গুরুত্বপূর্ণ। মন্তব্য করুন, শেয়ার করুন, ভালোবাসায় থাকুন।
#বিড়াল_ভালোবাসা #নীরব_সঙ্গী #বিজনেসটুডে২৪