সোমবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে ড. খালিদ হোসেন জানান, সৌদি আরবের নুসুক প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশি হজ এজেন্সিগুলোর জমাকৃত অর্থ ফেরত আনা হয়েছে। তিনি বলেন, “সৌদি আরবের হজ মন্ত্রণালয়ের নুসুক প্ল্যাটফর্মে ৯৯০টি এজেন্সির টাকা জমা ছিল। আলোচনার মাধ্যমে সেই অর্থ ফেরত আনা সম্ভব হয়েছে। মোট ৩৮ কোটি টাকা এখন দেশে ফিরে এসেছে।”
তিনি জানান, ফেরত পাওয়া অর্থ ব্যাংকের মাধ্যমে এজেন্সি মালিকদের মধ্যে বণ্টন করা হবে। এর মধ্যে কোনো এজেন্সি সর্বোচ্চ ৪৫ লাখ টাকা এবং সর্বনিম্ন ২ টাকা পাবে।
একজন সাংবাদিকের প্রশ্নে—“আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচন সামনে রেখে উপদেষ্টারা কি সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে এগোচ্ছেন, নাকি সেফ এক্সিটের প্রস্তুতি নিচ্ছেন?”—এর জবাবে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, “আমরা কোথায় দেশ থেকে পালাবো? আমার ঢাকায় কোনো বাড়ি নেই, চট্টগ্রামেও নেই। তাহলে আমি সেফ এক্সিট নিয়ে বাইরে রাস্তায় গিয়ে শুয়ে থাকবো? এই দেশটাই আমার। আমরা যদি নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে পারি, সেটাই হবে আমাদের সবচেয়ে বড় সফলতা ও কৃতিত্ব।”
আগামী বছরের হজ নিবন্ধনের সময়সীমা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এ বিষয়ে মঙ্গলবার ভার্চুয়ালি সৌদি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক হবে। সেখানে সময়সীমা বাড়ানো হবে কিনা, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
জুলাই আন্দোলনে সক্রিয় ব্যক্তিদের সঙ্গে সরকারের সম্পর্ক প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, “আমার তো মনে হয় না কোনো দূরত্ব তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক কারণে অনেক কথাই বলা হয়, কিন্তু সব কিছু শতভাগ মাপা যায় না। আমাদের সবার সঙ্গে সম্পর্ক ভালো রাখার চেষ্টা করছি—তরুণদের সঙ্গেও, রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গেও।”