Home বিনোদন সম্পর্কের টানাপোড়েন ও আয়ের গুঞ্জনে আলোচনায় অপূর্বা মুখিজা

সম্পর্কের টানাপোড়েন ও আয়ের গুঞ্জনে আলোচনায় অপূর্বা মুখিজা

বিনোদন ডেস্ক: বলিউড ও সোশ্যাল মিডিয়ার গ্ল্যামার দুনিয়ায় তারকাদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক প্রায়শই কনটেন্ট তৈরির কৌশল হয়ে দাঁড়ায়। এর ফলে একদিকে যেমন জনপ্রিয়তা বাড়ে, অন্যদিকে তৈরি হয় নতুন বিতর্ক ও মানহানির ঝুঁকি। সাম্প্রতিক সময়ে আলোচনার কেন্দ্রে থাকা কনটেন্ট ক্রিয়েটর অপূর্বা মুখিজার ক্ষেত্রেও ঘটেছে একই ঘটনা।

সম্প্রতি করণ জোহরের রিয়েলিটি শো দ্য ট্রেটরস এ অংশ নেওয়ার পর থেকেই আলোচনায় ছিলেন অপূর্বা। তবে তাঁর প্রাক্তন প্রেমিক উৎসব দাহিয়া ইনস্টাগ্রামে অভিযোগ করার পর পরিস্থিতি অন্য দিকে মোড় নেয়। উৎসবের দাবি, অপূর্বা তাঁদের ব্যক্তিগত সম্পর্ককে ব্যবহার করেছেন নিজের কনটেন্টের জন্য এবং পরোক্ষভাবে তাঁকে চোর ও নির্যাতনকারী আখ্যা দিয়েছেন। এর জেরে তাঁকে সোশ্যাল মিডিয়ায় কটূক্তি ও ট্রোলের শিকার হতে হয়েছে।

এই অভিযোগ ঘিরে নেটিজেনদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা চলছে। কেউ অপূর্বার কনটেন্ট তৈরির পদ্ধতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন, আবার কেউ উৎসবকেও দায়ী করছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে ব্যক্তিগত সম্পর্ককে কনটেন্টে রূপ দেওয়া একদিকে দর্শক টানার কৌশল হলেও দীর্ঘমেয়াদে তা সুনাম ক্ষুণ্ন করে। অনেক ক্ষেত্রেই কনটেন্টের চাহিদা পূরণের জন্য ব্যক্তিগত জীবনের গোপন মুহূর্ত প্রকাশ্যে চলে আসে, যা মানসিক চাপ ও দ্বন্দ্ব বাড়িয়ে তোলে।

এদিকে অপূর্বার আয় ঘিরেও তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ভাইরাল হওয়া একটি পোস্টে দাবি করা হয়, তিনি একটি রিলের জন্য ৬ লক্ষ টাকা নেন এবং মাসে আয় করেন প্রায় ৭৫ লক্ষ টাকা। মোট সম্পত্তির পরিমাণ বলা হয় ৪১ কোটি টাকার বেশি। তবে অপূর্বা নিজেই সেই তথ্যকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, তাঁর ব্যবহার করা পোশাক থেকে শুরু করে নখ পর্যন্ত ভাড়া বা নকল। কেবল ২০ হাজার টাকার একটি ঘড়ি ছাড়া দামী কিছুই নেই।

অপূর্বার বক্তব্য অনুযায়ী, ব্র্যান্ডগুলিই তাঁর প্রাপ্য পারিশ্রমিক দিতে গড়িমসি করে, অথচ সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি ছড়ানো হচ্ছে তিনি বিপুল অর্থ উপার্জন করছেন। এই বৈপরীত্যই প্রশ্ন তুলছে, আসলেই ইনফ্লুয়েন্সারদের আয় নিয়ে যে সব পরিসংখ্যান ছড়ানো হয়, তার কতটা সত্য আর কতটা প্রচারণার কৌশল।

সব মিলিয়ে ব্যক্তিগত সম্পর্কের টানাপোড়েন এবং আয়ের গুঞ্জন অপূর্বা মুখিজাকে নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রে নিয়ে এসেছে। বলিউড এবং ডিজিটাল দুনিয়ার মিলিত প্রভাব এখন মানুষের কৌতূহল জাগাচ্ছে, কিন্তু এর মধ্যেই উন্মোচিত হচ্ছে ব্যক্তিগত জীবনকে কনটেন্ট বানানোর নেপথ্যের অস্বস্তিকর বাস্তবতা।

👉 এই প্রতিবেদনটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তবে লাইক ও শেয়ার করুন যাতে আরও পাঠকের কাছে পৌঁছাতে পারে।