বাংলাদেশিদের ওপর কঠোর নজরদারি
কৃষ্ণা বসু, কলকাতা: দিল্লিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনার পর পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। কলকাতা থেকে শুরু করে সীমান্ত শহর বনগাঁ পর্যন্ত জারি করা হয়েছে হাই এলার্ট। রাজ্যের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চলছে নাকা তল্লাশি ও যানবাহন পরীক্ষা।
সরেজমিনে বনগাঁ রেলস্টেশন ঘুরে দেখা গেছে, জিআরপিএফ (Government Railway Police) ও আরপিএফ (Railway Protection Force) সদস্যরা যৌথভাবে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছেন। প্রতিটি প্ল্যাটফর্মে কড়া নজরদারি চলছে। ট্রেনের ভেতরে যাত্রীদের লাগেজ পরীক্ষা করা হচ্ছে, যাচাই করা হচ্ছে পরিচয়পত্র ও যাত্রার উদ্দেশ্য।
দিল্লির বিস্ফোরণ ঘটনার পর কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা থেকে রাজ্য প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশনা পৌঁছায়। সেই অনুযায়ী বনগাঁ শহর, রেলস্টেশন ও সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় পুলিশ চৌকি ও টহল বেড়েছে।
বনগাঁ সীমান্তে প্রবেশ ও বহির্গমনকারী বাংলাদেশি যাত্রীদের ওপরও তল্লাশি চলছে। পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন এলাকায় পাসপোর্ট ও লাগেজ যাচাই প্রক্রিয়া আরও কঠোর করা হয়েছে। সন্দেহজনক কোনো ব্যক্তি বা পণ্য দেখা গেলে সঙ্গে সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
রেলস্টেশনে উপস্থিত এক আরপিএফ কর্মকর্তা জানান, “উচ্চপর্যায়ের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা প্রতিটি যাত্রী ও লাগেজ সতর্কভাবে পরীক্ষা করছি। বিশেষ করে দিল্লি বিস্ফোরণের পর থেকে কাউকে সন্দেহজনক মনে হলে তাৎক্ষণিকভাবে যাচাই করা হচ্ছে।”
বনগাঁর স্থানীয়দের অনেকে জানিয়েছেন, শহরের প্রবেশপথগুলোতে নাকা তল্লাশি চলছে। মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কার, এমনকি স্থানীয় বাসও থামিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে। রাতে পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।
কলকাতা মহানগর পুলিশের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, “দিল্লি ঘটনার পর গোয়েন্দা সতর্কবার্তা পাওয়া গেছে। তাই শহরজুড়ে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জনবহুল জায়গা, মেট্রো স্টেশন ও রেলস্টেশনে নজরদারি চলছে।”
তবে নিরাপত্তা জোরদারের কারণে কিছুটা ভোগান্তি বাড়লেও অধিকাংশ যাত্রী ও সাধারণ মানুষ তা মেনে নিচ্ছেন। তাদের মতে, দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে এমন সতর্কতা প্রয়োজন।










