Home আকাশ পথ হিথ্রো বিভ্রাটে সাত ঘণ্টা নিঃশব্দে ঘুমিয়ে ছিলেন প্রধান নির্বাহী

হিথ্রো বিভ্রাটে সাত ঘণ্টা নিঃশব্দে ঘুমিয়ে ছিলেন প্রধান নির্বাহী

এভিয়েশন ডেস্ক:

লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরের নির্বাহী প্রধান টমাস উল্ডবাই গত ২১ মার্চ রাতে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের পর টানা সাত ঘণ্টা ঘুমিয়ে ছিলেন এবং ওই সময়ে তার ফোন নিঃশব্দ থাকায় কর্তৃপক্ষের কেউই তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। একটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

সেই রাতে হেইস এলাকায় অবস্থিত নর্থ হাইড সাবস্টেশনে আগুন লাগলে পুরো বিমানবন্দর বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে হিথ্রোর সব ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যায় এবং প্রায় দুই লাখ যাত্রী আটকা পড়েন। রাত ১১টা ৫৫ মিনিটের দিকে ঘটনার সূচনা হলেও উল্ডবাই ঘুম থেকে ওঠেন পরদিন সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে, তখন সংবাদমাধ্যমে ঘটনাটি অনেক আগেই প্রকাশিত হয়েছিল।

তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করেছেন সাবেক পরিবহনমন্ত্রী ও হিথ্রো বোর্ড সদস্য রুথ কেলি। তিনি জানান, উল্ডবাইয়ের ফোন নিজে থেকেই ‘সাইলেন্ট মোড’-এ চলে যায় এবং তিনি সে বিষয়ে জানতেন না। ফলে সংকটের সময় তাকে কোনোভাবেই পাওয়া যায়নি। ওই সময় বিমানবন্দরের অপারেশন প্রধান জাভিয়ার ইচাভে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং তিনি বিমানবন্দর পুরোপুরি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।

তদন্তে পূর্ববর্তী কিছু রিপোর্টে বলা হয়েছিল, উল্ডবাই আগেই বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কথা জেনে ঘুমাতে যান, কিন্তু কেলির তদন্তে এটি অস্বীকার করা হয়।

তবে উল্ডবাই তদন্ত কমিটির কাছে দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, “ঘটনার রাতে যোগাযোগযোগ্য না থাকাটা গভীর অনুশোচনার বিষয়।” তদন্ত কমিটি সুপারিশ করেছে, ভবিষ্যতে জরুরি পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বিকল্প মাধ্যমে যোগাযোগের ব্যবস্থাও রাখতে হবে।

এদিকে ভার্জিন আটলান্টিকের প্রধান নির্বাহী শাই ওয়েইস বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “আমার হলে আমি সঙ্গে সঙ্গেই বিমানবন্দরে ছুটে যেতাম। একজন প্রধান নির্বাহীর দায়িত্ব হলো সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া।”

ঘটনার সূত্রপাত হয় একটি ৫৭ বছর পুরোনো ট্রান্সফরমারে আগুন লাগার মাধ্যমে। আগুন পরে আরও দুটি ট্রান্সফরমারে ছড়িয়ে পড়ে। তিনটি গ্রিড লাইনের একটিও কাজ না করায় হিথ্রো কার্যত অচল হয়ে পড়ে। গ্রিড অপারেটররা একে ‘অভূতপূর্ব’ ঘটনা বলে উল্লেখ করেছেন।

তদন্তে আরও উঠে এসেছে, বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে হিথ্রোর ‘রিং’ কনফিগারেশন বা জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে সরাসরি সংযোগের পরিকল্পনা থাকলেও তা দীর্ঘদিন ধরে স্থগিত রয়েছে। এমনকি এই সরাসরি সংযোগ earliest ২০৩৭ সালের আগে সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে ন্যাশনাল গ্রিড।

হিথ্রোর চেয়ারম্যান লর্ড ডেইটন বলেন, “এই পর্যালোচনা আমাদের ভবিষ্যতের জন্য আরও প্রস্তুত করবে। আমরা রুথ কেলি ও তদন্ত দলের সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞ।

🔗 বিস্তারিত পড়ুন: www.businesstoday24.com