আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইথিওপিয়ার হেলি গুব্বি আগ্নেয়গিরি দশ হাজার বছর পর জেগে উঠেছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এটি বিরল, ঐতিহাসিক এবং ব্যতিক্রমী এক প্রাকৃতিক ঘটনা। দীর্ঘ নীরবতার পর রবিবার দুপুরে আগ্নেয়গিরিটি হঠাৎ অগ্ন্যুৎপাত শুরু করে। মুহূর্তেই আকাশ ভরে যায় ধোঁয়া ও অগ্নিগোলায়। আগ্নেয়গিরিটির আশপাশের কয়েক শ কিলোমিটার এলাকা এখন উচ্চ সতর্কতায় রয়েছে।
ইথিওপিয়ার ন্যাশনাল ভলকানিক রিসার্চ ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, হেলি গুব্বি মূলত পূর্ব আফ্রিকার গ্রেট রিফট ভ্যালির অংশ। ভূত্বকের ধারাবাহিক টান ও বিচ্ছিন্নতার কারণে এই অঞ্চলে দীর্ঘ সময়ের ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরিগুলো মাঝে মাঝে অস্বাভাবিক আচরণ করে। তবে দশ হাজার বছরের স্থবিরতা ভেঙে এমন শক্তিশালী বিস্ফোরণ অত্যন্ত বিরল বলে গবেষকেরা মনে করছেন।
অগ্ন্যুৎপাতের কারণে আগ্নেয় ধোঁয়ার স্তম্ভ কয়েক কিলোমিটার উঁচুতে উঠে গেছে। এর ফলে আকাশপথে উড়োজাহাজ চলাচলে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। আগ্নেয় ধোঁয়া ইঞ্জিনের ক্ষতি করতে পারে, তাই ভৌগোলিকভাবে দূরে থাকা দেশগুলোর ফ্লাইট রুটেও সতর্কতা বজায় রাখা হচ্ছে। বিশেষ করে আরব সাগরের উপর দিয়ে যাওয়া আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলো পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
আকাশা এয়ার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, তারা আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল নীতিমালা অনুসরণ করছে এবং পরিস্থিতি প্রতি ঘণ্টায় মনিটর করা হচ্ছে। যাত্রীদের নিরাপত্তাই তাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার বলে প্রতিষ্ঠানটি জানায়। ভারত থেকে আরব দেশমুখী ফ্লাইটগুলোর বেশির ভাগই আরব সাগরের উপরের এই রুট ব্যবহার করে। তাই প্রয়োজন হলে কয়েকটি উড়ান ঘুরিয়ে অন্য রুট ব্যবহার করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইথিওপিয়ার জরুরি ব্যবস্থাপনা বিভাগ স্থানীয় বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত প্রাণহানি বা বড় ধরনের ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি, তবে আগ্নেয় ধোঁয়ার কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গবেষকেরা বলছেন, অগ্ন্যুৎপাতের বর্তমান ধরণ দেখে এই বিস্ফোরণ আরও কয়েক দিন স্থায়ী হতে পারে।
পৃথিবীর আগ্নেয়গিরির মানচিত্রে নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে হেলি গুব্বি। বিজ্ঞানীরা ইতিমধ্যে এর অগ্ন্যুৎপাতের ধরণ, ম্যাগমার রাসায়নিক গঠন ও ভূত্বকের পরিবর্তন নিয়ে জরুরি গবেষণা শুরু করেছেন।
লাইক দিন 👍, শেয়ার করুন 🔁, এবং মন্তব্যে জানান আপনার মতামত!










