আইটি ডেস্ক:
আগামী তিন বছরের মধ্যে ৫জি প্রযুক্তিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের পথে হাঁটছে চীন রাজধানী বেইজিং। সম্প্রতি শহরের অর্থনীতি ও তথ্যপ্রযুক্তি ব্যুরো এবং যোগাযোগ প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত এক কর্মপরিকল্পনায় জানানো হয়েছে, ২০২৭ সালের মধ্যে ব্যক্তিগত পর্যায়ে শতভাগ ৫জি সংযোগ, নেটওয়ার্কে মোট ডেটা চলাচলের ৭৫ শতাংশ ৫জি মাধ্যমে এবং বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৫ শতাংশ ৫জি ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
এই কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী, বেইজিং শহরের প্রতি ১০ হাজার বাসিন্দার জন্য স্থাপন করা হবে ৭০টি করে উন্নতমানের ৫জি ও ৫জি-অ্যাডভান্সড বেস স্টেশন। পঞ্চম বৃত্তাকার সড়কের ভেতরের পুরো এলাকায় নিশ্চিত করা হবে নিরবচ্ছিন্ন ৫জি কাভারেজ এবং গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে থাকবে ৫জি-এ সেবা। এজন্য নতুন করে বসানো হবে বা উন্নয়ন করা হবে ৩৫ হাজারের বেশি ৫জি বেস স্টেশন।
শুধু পরিকাঠামোতেই থেমে নেই এই পরিকল্পনা। বেইজিং শহর ৫জি-নির্ভর স্মার্ট রোবট, মোবাইল টার্মিনাল এবং ক্লাউডভিত্তিক যন্ত্রপাতির জন্য একটি উদ্ভাবনী প্রযুক্তি পরিবেশ গড়ে তুলতে চায়। উন্নয়ন করা হবে নতুন প্রজন্মের প্রযুক্তি যেমন এক্সটেন্ডেড রিয়েলিটি , থ্রিডি চশমাবিহীন প্রযুক্তি, স্মার্ট পরিধেয় ডিভাইস এবং ঘরের জন্য ৫জি সমাধান।
৫জি প্রযুক্তির ব্যাপক প্রয়োগে শিল্প খাতেও আসবে আমূল পরিবর্তন। শিল্প ইন্টারনেট, মানবাকৃতির রোবট, স্মার্ট পাওয়ার গ্রিড, স্বয়ংচালিত যান, স্বল্প উচ্চতার বিমান চলাচল, স্বাস্থ্যসেবা এবং ডিজিটাল শিক্ষাক্ষেত্রে ৫জি চালিত প্রযুক্তি ব্যবহারকে বেইজিং প্রশাসন বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে।
এই কর্মপরিকল্পনার আওতায় ৪০০টি ৫জি স্মার্ট হাসপাতাল গড়ে তোলার ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে, যা চীনের স্বাস্থ্যখাতে প্রযুক্তিনির্ভর যুগের সূচনা করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০২৭ সালের মধ্যে সফলভাবে এই লক্ষ্য অর্জন করতে পারলে বেইজিং হয়ে উঠবে চীনের মধ্যে ৫জি প্রযুক্তিনির্ভর নগর ব্যবস্থার রোল মডেল, যা আন্তর্জাতিক পরিসরেও প্রযুক্তিনির্ভর নগর উন্নয়নের পথনির্দেশ দিতে পারে।