Home First Lead ‘কঠোর’ লকডাউনেও শিল্পকারখানা চলবে

‘কঠোর’ লকডাউনেও শিল্পকারখানা চলবে

ফাইল ছবি

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

ঢাকা : গত কয়েকদিন ধরেই দেশে একের পর এক মৃত্যু ও শনাক্তে রেকর্ড ভাঙছে। এতে ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল। এমন পরিস্থিতিতে আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। তবে সম্পূর্ণ লকডাউন শুরু হলেও এই সময়ে চালু থাকবে শিল্প-কারখানা এবং চালু রাখা যাবে নির্মাণ কাজও।

রবিবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

তৈরি পোশাক খাতের দুই সংগঠন বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

সভায় যুক্ত ছিলেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, বিজিএমইএর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ আবদুস সালাম, নব-নির্বাচিত সভাপতি ফারুক হাসান, বিকেএমইএ’র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম ও বিটিএমএ’র সভাপতি মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।

সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন সমন্বয় অধিশাখার উপসচিব মো. রেজাউল ইসলামের সই করা ওই বিজ্ঞপ্তিতে কারখানা বন্ধ রাখার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করা হয়নি।

তবে বলা হয়েছে, সরকার ঘোষিত চলমান নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা পর্যন্ত চলবে এই নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু ওই নিষেধাজ্ঞায় কারখানা বন্ধ রাখার বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি। অর্থাৎ বর্তমানে শিল্পকারখানা এই নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত রয়েছে।

এর আগে রবিবার দুপুরে পোশাক খাতের বর্তমান ইস্যু নিয়ে বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ ও ইএবি এক যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেছে।

সভায় রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক খাতসহ বস্ত্রখাতের অন্যান্য সহযোগি শিল্পসমূহকে লকডাউনের আওতামুক্ত রাখার দাবি জানান শিল্প উদ্যোক্তারা।

তারা বলেন, পোশাক কারখানা লকডাউনের আওতার বাইরে না রাখা হলে রপ্তানি বাজার হারাবে বাংলাদেশ। এছাড়া শ্রমিকদের বেতন-বোনাস নিয়ে সংকট তৈরি হতে পারে।

উদ্যোক্তারা বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে আমাদের সমন্বয়ের অভাব নেই। আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই কারখানায় উৎপাদন অব্যাহত রেখেছি।

কয়েকটি জরিপের উদ্বৃতি দিয়ে তারা বলেন, সেন্টার ফর বাংলাদেশ, ইউকে বার্কলি ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের জরিপ মতে, ৯৪ শতাংশ শ্রমিক বলেছেন, তারা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত গাইডলাইন বিষয়ে সচেতন। ৯১ দশমিক ৪২ শতাংশ শ্রমিক বলেছেন, কারখানা থেকে তাদের কোভিড-১৯ মোকাবিলায় ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী সরবরাহ করা হয়েছে।