*প্রতিলিটার খোলা সয়াবিন ১৮০
*টিসিবির ট্রাকে চলছে ’নব্য’ নিম্ন মধ্যবিত্তদের কাড়াকাড়ি!
*চাহিদা বেশি হওয়ায় দামটাও বাড়তি-নেছার
*কেন বাজারে তেল নাই কারণ খুঁজে বের করতে হবে
নাজমুল হোসেন:
চট্টগ্রাম: দফায় দফায় ভোজ্যতেলের দাম বাড়ছে। ভোক্তাদের অভিযোগ, বাজারে কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে দাম বাড়ানো হচ্ছে। অন্যদিকে বিশ্ববাজারে দাম বাড়ায় ভোজ্যতেলে এমন অস্থিরতা তৈরি হয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।
খাতুনগঞ্জে সয়াবিন তেল মণপ্রতি (৩৭.৩২ কেজি) বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৬ হাজার টাকায়। অর্থাৎ পাইকারিতে প্রতিলিটার সয়াবিন ১৭৪ টাকা ১৭ পয়সা দরে বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে পামতেল প্রতিমণ বিক্রি হচ্ছে ৫ হাজার ৮৯০ টাকা।পাইকারিতে লিটারপ্রতি পামতেল বিক্রি হচ্ছে ১৫৭ টাকা ৮২ পয়সায়।
এদিকে খুচরা বাজারে প্রতিলিটার খোলা সয়াবিন ১৮০, বোতলজাত সয়াবিন ১৮৫ থেকে ১৯০, খোলা পামতেল লিটারপ্রতি ১৫৮ ও পাঁচ লিটার বোতলজাত ভোজ্যতেল ৮৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
খাতুনগঞ্জের ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা বলছেন, রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পরেই তেলের বাজার ঊর্ধ্বমুখী। গেল কয়েকদিনের ব্যবধানে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন সয়াবিন তেলে ১০০ ডলার বেড়ে ১ হাজার ৭৩০ ডলারে বিক্রি হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববাজারে দাম বাড়ার অজুহাতে গেল কয়েকদিন ধরে নগরীর খুচরা দোকানগুলোতে পর্যাপ্ত তেলের সরবরাহ নেই।
তারা বলছেন, আমরা কোম্পানির প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তাদের কাছেই স্টক কম। বিশ্ববাজারে দাম বাড়ায় তারা নাকি নতুন এলসি কম খুলছেন। গেল কয়েকদিন থেকে দিনের ব্যবধানে পরিবর্তন হচ্ছে তেলের দাম। আমরা সবাই যেনো জিম্মি হয়ে আসি।
ভোজ্যতেলের দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে রিয়াজউদ্দীন বাজারের ব্যবসায়ী নেছার উদ্দীন বিজনেসটুডে২৪কে জানান, বাজারে তেলের সরবরাহ কম। আমরা কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তেল পাচ্ছি না। তাই তেলের যোগান কম, চাহিদা বেশি হওয়ায় দামটাও বাড়তি।
কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর চট্টগ্রাম অঞ্চলের সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, বৃহস্পতিবার ভোজ্যতেলের খোঁজ নিতে দোকানে গেলাম। দোকানদার বলল তেল নাই। কারণ জানতে চাইলে বলে তেলের সরবরাহ কম। কেন বাজারে তেল নাই সেটার কারণ খুঁজে বের করতে হবে। অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে হবে। আমরা চাই জনগণ ভোগান্তি থেকে বাঁচুক।
এছাড়াও, গেল ককয়েকদিন ধরে ভোজ্যতেলের বাজার অস্থির থাকার কারণে টিসিবির ট্রাকে চলছে ’নব্য’ নিম্ন মধ্যবিত্তদের কাড়াকাড়ি।










