বিজনসটুডে২৪ ডেস্ক: ১৮৮৬ সালের মে মাসে শিকাগোর হে মার্কেট স্কয়ারে শ্রমিকদের আট ঘণ্টা কর্মদিবসের দাবিতে যে আন্দোলন হয়েছিল, তা আজও শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের প্রতীক। ২০২৫ সালে এসে, সেই শিকাগো শহরের শ্রমিকদের অবস্থা কেমন?
২০২৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত শিকাগো অঞ্চলের মোট কর্মসংস্থান ছিল ৪.৮ মিলিয়ন, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় অপরিবর্তিত। তবে, পেশাদার ও ব্যবসায়িক পরিষেবা খাতে ২৩,৪০০টি চাকরি হ্রাস পেয়েছে, যা জাতীয় প্রবণতার বিপরীত।
২০২৪ সালের জুনে শিকাগোর বেকারত্বের হার ছিল ৬.২%, যা জাতীয় গড় ৪.১% থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। এই উচ্চ বেকারত্বের হার শ্রমিকদের জন্য চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করছে, বিশেষ করে নিম্নআয়ের গোষ্ঠীর মধ্যে।
শিকাগোর দক্ষিণ পাশে “The 1901” নামক একটি মেগা-উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলছে, যেখানে সঙ্গীত ভেন্যু, পার্ক, খেলার মাঠ, হোটেল এবং প্রায় ১০,০০০ আবাসিক ইউনিট নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। এই ধরনের প্রকল্পগুলি শ্রমিকদের জন্য নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে।
একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, শিকাগোর ৮৪% ব্যবসায়িক নেতা ২০২৫ সালে নিয়োগ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছেন, এবং ৭১% তাদের অফিস স্পেস বাড়াতে চান। তবে, শহরের বাজেট ঘাটতি এবং ব্যয় সংকোচনের কারণে এই পরিকল্পনাগুলি বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ হতে পারে।
হে মার্কেট স্কয়ার এখন একটি ঐতিহাসিক স্থান। সেখানে শ্রমিক আন্দোলনের স্মরণে একটি স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন করা হয়েছে। প্রতিবছর মে দিবসে এখানে শ্রমিক সংগঠনগুলি সমাবেশ করে। তবে ২০২৫ সালে বড় পরিসরের কোনো কর্মসূচির খবর এখনো পাওয়া যায়নি।
শিকাগোর শ্রমিকরা বর্তমানে মিশ্র পরিস্থিতির মুখোমুখি। একদিকে উন্নয়ন প্রকল্প ও ব্যবসায়িক সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে, অন্যদিকে উচ্চ বেকারত্ব এবং বাজেট ঘাটতির কারণে চ্যালেঞ্জও রয়েছে। হে মার্কেটের ইতিহাস শ্রমিকদের অধিকার আন্দোলনের প্রেরণা হিসেবে আজও গুরুত্বপূর্ণ।