বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক: বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম যখন ইতিমধ্যেই চাপে রয়েছে, ঠিক সেই সময়ে ওপেক+জোটের আটটি সদস্য দেশ ঘোষণা করেছে, তারা জুনে দৈনিক ৪.১১ লাখ ব্যারেল অতিরিক্ত তেল উত্তোলন করবে।
এটি পূর্ব ঘোষিত মাত্র ১.৩৭ লাখ ব্যারেল বৃদ্ধির তুলনায় প্রায় তিনগুণ, যা বিশ্লেষকদের মতে, তেল বাজারে এক ‘সাঙ্ঘাতিক ঝাঁকুনি’।
উৎপাদন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে: সৌদি আরব, রাশিয়া, ইরাক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, কাজাখস্তান, আলজেরিয়া এবং ওমান।
বিশ্লেষক জর্জ লিয়ন বলেন, “ওপেক+ এখন স্পষ্টভাবে মার্কেট শেয়ার অর্জনের খেলায় নেমেছে। এটি বহু বছরের কাটছাঁট নীতির পর এক অভূতপূর্ব কৌশলগত বদল।”
বিশ্বব্যাপী চাহিদা স্থবির হয়ে পড়ায় তেলের দাম কয়েক মাস ধরে নিম্নমুখী। বর্তমানে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ৭৯ ডলারের নিচে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৮ শতাংশ কম।
গত মাসেই ওপেক+ তাদের বৈশ্বিক চাহিদা পূর্বাভাস কমিয়ে দিয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান বাণিজ্য উত্তেজনা এবং মার্কিন ট্যারিফের প্রভাবে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি ধীর হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনার কথা বলে।
এই পটভূমিতে সৌদি আরবের নেতৃত্বে নেওয়া নতুন পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক কূটনীতিতেও ইঙ্গিতবাহী। ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরই সৌদি আরবকে উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান জানান। এখনকার সিদ্ধান্তকে অনেকে ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের পদক্ষেপ হিসেবেও দেখছেন।
তবে এই অতিরিক্ত সরবরাহ উৎপাদক দেশগুলোর রাজস্বে বড় ধাক্কা দিতে পারে। অনেক দেশই তেলের ওপর নির্ভরশীল বাজেট পরিচালনা করে থাকে।
বিশ্লেষকরা সতর্ক করছেন, যদি বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক গতি না বাড়ে, তবে এই বাড়তি সরবরাহ বাজারে মজুত বাড়িয়ে ফেলবে, যা ভবিষ্যতের জন্য আরও মূল্যপতনের কারণ হতে পারে।










