Home Second Lead পুরোনো ইঞ্জিনে নাকাল রেল, বন্ধ কমিউটার ও লোকাল ট্রেন

পুরোনো ইঞ্জিনে নাকাল রেল, বন্ধ কমিউটার ও লোকাল ট্রেন

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম: বাংলাদেশ রেলওয়ের বহরে থাকা ইঞ্জিনগুলোর অর্ধেকের বেশি এখন বয়সের ভারে ন্যুব্জ। ২৯৭টি ইঞ্জিনের মধ্যে ৫১ শতাংশই অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল পেরিয়ে গেছে। এর প্রভাব পড়েছে সারা দেশের ট্রেন চলাচলে। স্বল্প ও মাঝারি দূরত্বের ৭০টি ট্রেন বর্তমানে বন্ধ রয়েছে, যার কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন লাখো যাত্রী।

রেলওয়ের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ১৪৭টি ইঞ্জিনের আয়ুষ্কাল থাকলেও বাকি ১৫০টিরই বয়স ২০ বছরের বেশি। এর মধ্যে ৫০টির বয়স ২১ থেকে ৩০ বছর, ১৬টি ৩১ থেকে ৪০ বছর এবং ৮৪টি ইঞ্জিন ৪০ বছরের বেশি পুরোনো। অর্থাৎ, এগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয় যেমন বেশি, তেমনি বারবার বিকল হয়ে পড়ছে চলাচলে।

লোকোমোটিভ ও কোচ সংকটের কারণে দেশে এখন ৩৩টি কমিউটার, ২১টি লোকাল, ১০টি মিশ্র, ৪টি মেইল ও ২টি শাটল ট্রেন বন্ধ। এর মধ্যে সান্তাহার-পঞ্চগড় রুটের জনপ্রিয় উত্তরবঙ্গ মেইলও রয়েছে। করোনাকালে স্থগিত হওয়া এসব ট্রেন এখনো চালু হয়নি।

পূর্বাঞ্চলে ৩২টি এবং পশ্চিমাঞ্চলে ৩৮টি ট্রেন বন্ধ রয়েছে। পূর্বাঞ্চলে বন্ধ ট্রেনগুলোর মধ্যে আছে ময়মনসিংহ-দেওয়ানগঞ্জ, সিলেট-ছাতক, আখাউড়া-সিলেট ও ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটের গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনগুলো। পশ্চিমাঞ্চলে ঈশ্বরদী, পার্বতীপুর, লালমনিরহাট ও রাজবাড়ী সংযোগকারী বহু লোকাল ও কমিউটার ট্রেন বন্ধ হয়ে আছে।

রেলওয়ের মহাপরিচালক আফজাল হোসেন জানিয়েছেন, নতুন ইঞ্জিন কেনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ‘প্রথম ধাপে এডিবির অর্থায়নে ৩০টি মিটারগেজ ইঞ্জিন কেনার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। দেশে আরও অন্তত ৯০টি নতুন ইঞ্জিন প্রয়োজন,’ বলেন তিনি।

ট্রেন বন্ধ থাকায় সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন স্বল্পআয়ের চাকরিজীবী ও শিক্ষার্থীরা। যোগাযোগ বিশ্লেষকরা বলছেন, অবকাঠামোগত সংস্কার ও ইঞ্জিন আধুনিকীকরণ ছাড়া এই সঙ্কটের সমাধান সম্ভব নয়। রেলের প্রতি যাত্রীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হলে জরুরি ভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।