Home সারাদেশ গ্রিক পুরাণের সাইক্লোপসের মতো বাছুর রাজশাহীতে, রহস্যে ভরা ঘটনা!

গ্রিক পুরাণের সাইক্লোপসের মতো বাছুর রাজশাহীতে, রহস্যে ভরা ঘটনা!

ছবি সংগৃহীত

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, রাজশাহী: দুর্গাপুর উপজেলার নন্দীগ্রামের হিন্দুপাড়ায় গাভীর পেট থেকে জন্ম নিয়েছে এক অদ্ভুত বাছুর। বাছুরটির দুটি মাথা, তিনটি কান এবং চারটি চোখ রয়েছে আর তা দেখে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এই অদ্ভুত বাছুরটির জন্মে মানুষের মধ্যে কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে এবং তারা একে অলৌকিক বা গ্রিক পুরাণের সাইক্লোপসের সাথে তুলনা করছেন।

স্থানীয়রা জানান, গ্রীক পুরাণে একচোখা দৈত্য সাইক্লোপসের গল্প শোনা যায়, যারা জিউসকে টাইটানদের পরাজিত করতে সাহায্য করেছিল। বাছুরটি দেখলে মনে পড়ে যায় সেই অদ্ভুত এক চোখের দৈত্যের কথা। সাইক্লোপসের মতোই দেখতে, চার চোখ এবং তিন কানসহ এ ধরনের অস্বাভাবিক অঙ্গপ্রত্যঙ্গের কারণে এটি এক রহস্যময় ঘটনাও বটে।

স্থানীয় বাসিন্দা জ্যোতিষ সন্ন্যাসী (৩৫) জানান, রবিবার (৪ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তার গাভী একটি বাছুর জন্ম দেয়। এটার শরীরে দুইটি মাথা, তিনটি কান এবং চারটি চোখ ছিল। তিনি বলেন, “এমন অদ্ভুত বাছুর আগে কখনো দেখিনি, প্রথমে আমি একটু ভয় পেয়েছিলাম। তবে, বাছুরটির অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ যেমন পা সব ঠিকঠাক রয়েছে।”

নওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আজাদ আলী সরদার বলেন, “খবর পেয়ে বাছুরটি একনজর দেখতে গিয়েছিলাম। বাছুরটির অবিশ্বাস্য আকৃতি দেখে মনে হয়, এটি কোনো অলৌকিক ঘটনা। এরকম অদ্ভুত বাছুর দেখার জন্য নানা জায়গা থেকে মানুষ ভিড় জমাচ্ছে।”

দুর্গাপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, বাছুরটির জেনেটিক ডিজঅর্ডারের কারণে এ ধরনের বিকৃত শরীরের জন্ম হয়েছে। তার মতে, এটি কোনো সাধারণ ঘটনা নয় এবং এর চিকিৎসা সম্ভব নয়। প্রাকৃতিকভাবেই, এমন ধরনের বাছুর সাধারণত খুব কম সময় বাঁচে—এটি কয়েক ঘণ্টা, কয়েকদিন বা কয়েক মাস পর্যন্ত বাঁচতে পারে। তবে, এ ক্ষেত্রে পিএফজি (প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান) থেকে জ্যোতিষ সন্ন্যাসীকে কিছু আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে।

বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা: জেনেটিক ডিজঅর্ডারের কারণে এই ধরনের অস্বাভাবিক শারীরিক বৈশিষ্ট্য দেখা দেয়। এটি গাভীর গর্ভাবস্থায় গঠনের সময় একটি ক্রোমোজোমাল বা মিউটেশনজনিত ত্রুটির ফলস্বরূপ হতে পারে, যা আংশিকভাবে সাইক্লোপসিক (এক চোখের) বা অস্বাভাবিক মাথার বিকাশ ঘটাতে পারে। সাধারণত এই ধরনের ত্রুটির কারণে বাচ্চাটি জীবিত থাকতে পারে না, বা যদি বাঁচে তবে তার স্বাভাবিক জীবনচক্রে অনেক সীমাবদ্ধতা থাকে।