আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য উত্তেজনা হ্রাসের ইঙ্গিতে সোমবার ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৬৩ ডলারের ঘর ছুঁয়েছে, যা গত দুই সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ। দুই বৃহত্তম তেল ভোক্তা দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনায় বিশ্ববাজারে চাহিদা বাড়ার প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে।
চুক্তি অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র চীনা পণ্যের ওপর শুল্ক ১৪৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩০ শতাংশে আনছে এবং চীনও মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক ১২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশে নামাচ্ছে। এই সুবিধা আগামী ৯০ দিনের জন্য কার্যকর থাকবে। এর ফলে বৈশ্বিক বাণিজ্য সচল হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ছে, যা সরাসরি প্রভাব ফেলেছে তেলের বাজারে।
তবে বাজারে ইতিবাচক প্রভাবের পাশাপাশি কিছু নেতিবাচক ইঙ্গিতও রয়েছে। ওপেক প্লাস জোট মে ও জুন মাসে তেল উৎপাদন আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে, যা বাজারে সরবরাহ বাড়িয়ে দামে চাপ ফেলতে পারে।
এছাড়া সম্ভাব্য মার্কিন-ইরান পরমাণু চুক্তির ইঙ্গিতও তেলের দামে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। চুক্তি হলে ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা শিথিল হয়ে বাজারে অতিরিক্ত তেল সরবরাহের পথ খুলে যেতে পারে। ইতিমধ্যে ওমানে রবিবার যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনার একটি ধাপ শেষ হয়েছে এবং আগামী দিনে আরও বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
সব মিলিয়ে, একদিকে যেমন মার্কিন-চীন সমঝোতা তেলের দামে উর্ধ্বগতি সৃষ্টি করছে, অন্যদিকে ওপেকের উৎপাদন বৃদ্ধি ও ইরান ইস্যু বাজারকে চাপে রাখছে। পরবর্তী দিনগুলোতে পরিস্থিতি আরও স্পষ্ট হবে।